সোমবার (২৩ মার্চ) রাজধানীর মিরপুর, গাবতলী, আগারগাঁও, শ্যামলী, কলেজগেট, মানিকমিয়া অ্যাভিনিউ, পান্থপথ, কারওয়ানবাজার, মৎস্যভবন, মতিঝিলসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
দেখা যায়, কর্মদিবসে রাজধানীর যে পথগুলো পাড়ি দিতে যানজটে দীর্ঘ সময় লাগতো এখন সেখানে কোনো যানজট নেই।
মিরপুর থেকে মতিঝিলে যেতে গণপরিবহনে সময় লাগতো দেড় থেকে দুই ঘণ্টা। সেখানে সোমবার সময় লেগেছে ৩৫ মিনিট বলে জানালেন বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মো. সাইফুল ইসলাম।
তিনি বলেন, নিজস্ব পরিবহন নেই তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়েই গণপরিবহনেই অফিস করতে হচ্ছে। তবে তিনি জানান, সড়কে যানজট কম থাকায় অল্পসময়ের মধ্যেই অফিস থেকে বাসায় আসা-যাওয়া করা যাচ্ছে।
এদিকে রাজধানীর ফুটপাতগুলোতে বেচাবিক্রি নেই। দোকান সাজিয়ে বসে থাকলেও ক্রেতার দেখা মিলছে না। সারাদিন বেচাকেনায় দিনের খরচ উঠছে না। এভাবে চললে আমাদের না খেয়ে মরতে হবে বলে জানালেন শেওড়া পাড়ার ফুটপাতের ব্যবসায়ী জয়নাল।
তিনি বলেন, সড়কে মানুষ নেই। সকাল থেকে দুপুর পেরিয়ে যাচ্ছে এখন পর্যন্ত দোকানে বোনি হয়নি। অথচ অন্য সময় এ সময় পর্যন্ত দুই থেকে তিন হাজার টাকা বিক্রি হতো।
ঈদের ছুটির মতো ফাঁকা রাজধানীজুড়ে এখন করোনা ভাইরাস আতঙ্ক। আতঙ্কের কারণে মানুষ অনেকটাই গৃহবন্দি হয়ে পড়েছেন। গণপরিবহনে জনসমাগম এড়াতে রিকশায় করে গন্তব্যস্থলে যাচ্ছেন অনেকে।
অন্যদিকে ২৫ মার্চ থেকে শপিংমল ও মার্কেটগুলো বন্ধ হয়ে গেলে রাজধানী আরও ফাঁকা হয়ে যাবে। চিরচেনা ঢাকা অচেনা রূপে পরিণত হবে।
তবে রাজধানীবাসী মনে করেন ভাইরাস আতঙ্ক কেটে অচিরেই ঢাকা ফিরবে তার আপন রূপে এমনটাই প্রত্যাশা তাদের।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫২ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০২০
এসএমএকে/আরবি/