প্রতি বছরের মতো এবারও প্রায় চার মাস উৎপাদন বন্ধ থাকার পর যখন নতুন দুটি পাতা একটি কুঁড়ি গজিয়েছে তখনই সেই দু’টি পাতা একটি কুঁড়ি ছিঁড়ে অনুষ্ঠানিকভাবে পাতা উত্তোলন শুরু করা হয়। শুরুতেই আয়োজন করা হয় দোয়া-মোনাজাতের।
সোমবার (২৩ মার্চ) সকালে বিটিআরআই এর পার্শ্ববর্তী সেকশন (চা আবাদ অঞ্চল) এবং বিটিআরআই এর বিলাশছড়া পরীক্ষণ খামারে নতুন বছরের জন্য চা পাতা উত্তোলনপর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিটিআরআই এর পরিচালক ড. মোহাম্মদ আলী, প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিট (পিডিইউ) এর ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ড. একেএম রফিকুল হক এবং বিটিআরআই এর মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (সিএসও) ড. মো. ইসমাইল হোসেন।
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত বিটিআরআই এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (পিএসও) ড. আবদুল আজিজ, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (পিএসও) ড. তৌফিক আহমেদ, ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (এসএসও) ড. মো. মাসুদ রানা, ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (এসএসও) ড. শেফালী বুনার্জী, ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (এসএসও) অসীম কুমার সাহা, ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (এসএসও) সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
বিটিআরআই এর পরিচালক ড. মোহাম্মদ আলী বাংলানিউজকে বলেন, আজ আমাদের বিটিআরআই এ প্রথম চা পাতা উত্তোলন করা হলো। এ পদ্ধতিকে বলে ‘টিপিং’। যেখান থেকে পাতা উত্তোলন করা হয়েছে তার পাঁচটি পাতা রয়েছে। এই পাতাগুলো দিয়েই সে সারা বছর সালকসংশ্লেষণের মাধ্যমে সূর্য থেকে তার খাদ্য সঞ্চয় করবে। আমাদের হিসেবে ৮ ইঞ্চি বাদ দিয়ে তারপর কুঁড়িটি উত্তোলন করা হয়। প্রতি সপ্তাহে সপ্তাহে ধারাবাহিকভাবে আমাদের সেকশন থেকে এভাবেই টেবিল মেনটেইন করে (সমানভাবে) চা পাতা উত্তোলন করা হবে।
গতবছর (২০১৯ সালের) দেশের চা শিল্পের ১৬৬ বছরের ইতিহাসে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ চা উৎপাদনের মাধ্যমে নতুন রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ। উৎপাদন করেছে ৯৬ দশমিক ০৭ মিলিয়ন কেজি (৯ কোটি ৬০ লাখের কিছু বেশি) চা বলে জানান বিটিআরআই এর পরিচালক ড. মোহাম্মদ আলী।
বিটিআরআই এ চলতি মৌসুমের ‘টিপিং’ শুরু। ছবি: বাংলানিউজ
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৮ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০২০
বিবিবি/এএ