স্বামীর নাম মহিবুল ইসলাম। তাদের বাড়ি ভারতের উত্তরপ্রদেশে।
সোমবার (২৩ মার্চ) ভোর ৫টার দিকে নবীজান মারা যান। তিনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন কিনা তা জানতে গিয়েছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য পরিদর্শক। পরিবারের সঙ্গে কথা বলে তিনি নিশ্চিত হয়েছেন নবীজান করোনায় আক্রান্ত ছিলেন না। তাই মরদেটি দাফন করার অনুমতি দেওয়া হয়। পরে এখানেই তার মরদেহ দাফন করা হয়।
গোদাগাড়া উপজপলার দেওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আখরুজ্জামান আক্তার এ তথ্য জানিয়েছেন
তিনি বলেন, সকালে তিনি নবীজানের মৃত্যুর খবর পেয়ে শহিদুলের বাড়ি যান। তখন উপজেলা স্বাস্থ্য পরিদর্শকও আসেন। করোনা আশঙ্কায় তিনি প্রতিরক্ষামূলক পোশাকও পরে ছিলেন। পরে স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে তিনি জানতে পারেন করোনায় আক্রান্ত কোনো উপসর্গ নবীজানের ছিলো না। তাই মরদেহটি দাফন করার জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে গোদাগাড়ীর প্রেমতলী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক আবদুল বারী জানান, গত ১১ মার্চ নবীজান ও তার স্বামী বাংলাদেশে বেড়াতে আসেন। তার শরীরে করোনা ভাইরাসের কোনো উপসর্গ ছিলো না। তবে আগে থেকেই তিনি শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। সোমবার ভোরে ঘুমন্ত অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। সে জন্য এ ঘটনায় কোনো আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলেও জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০২০
এসএস/ওএইচ/