সোমবার (২৩ মার্চ) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় নিম্নবিত্ত শ্রমজীবী বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে অন্যান দিনের মতোই কাজ করতে দেখা যায়।
রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে রিকশা চালাতে দেখা গেল রংপুর জেলার কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছের আজহারকে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় গেটের সামনে ডাব বিক্রেতা ভৈরবের সাব্বির নিজের ভাষায় যা বলেন তার সারমর্ম হলো, ব্যবসা না করলে খাব কী? পরিবারকে দিব কী? গরিব মানুষের কোনো সময় শান্তি নেই। বাসায় বসে থাকার মত অবস্থা আমার নেই। খরচের টাকা তো আর কেউ দেবে না।
কিশোরগঞ্জের ৪০ বছর বয়সী খোকন মিয়া রাজধানীতে ভ্যান চালান। তিনিও বাংলানিউজকে একই কথা বলেন। তার বলা কথাগুলো এরকম, শখ করে তো আর ভ্যান চালাই না ভাই। সমস্ত পরিবারের দায়িত্ব আমার ওপর। তাদের খাওয়া দাওয়া পোশাক আশাক সবমিলিয়ে প্রতিমাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা খরচ হয়। ভ্যান না চালালে টাকা পাব কই? যতই দুর্যোগ আসুক, আমাদের কাজে বের হতেই হবে।
বাগেরহাটের তরুণ আনছার সদস্য ইমরান শাহবাগ এলাকায় ট্রাফিক পুলিশের সহযোগী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি বলেন, করোনার ভয়ে বাসায় বসে থাকলে তো চলবে না। কাউকে না কাউকে তো দায়িত্ব পালন করতেই হবে। যেহেতু আমাকে এখানে কাজ করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাই এটা আমাকে পালন করতেই হবে।
এছাড়া ফুটপাতে চা বিস্কুট বিক্রেতা, ফল বিক্রেতা, বিভিন্ন ধরনের হকার, সিএনজি চালক, বাস চালক এবং শ্রমিকসহ নিম্নবিত্ত শ্রমজীবী প্রায় মানুষের কাজে বের হওয়ার কারণ প্রায় একই রকমের। পাশাপাশি এসব শ্রমজীবী মানুষদের সহজ-সরল স্বীকারোক্তি জীবনের তাগিদে, পেটের টানেই তারা কাজ করতে বের হচ্ছেন।
বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশেও এ পর্যন্ত এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ৩৩ জন। মারা গেছেন তিন জন।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০২০
আরকেআর/এমএ