বুধবার (২৫ মার্চ) দুপুর ১২টায় মহাখালীতে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) কার্যালয়ে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা একথা বলেন।
তিনি বলেন, লিমিটেড স্কেলে লোকালি কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হয়ে থাকতে পারে।
তিনি বলেন, আমরা নিউমোনিয়ার রোগীদের নমুনা পরীক্ষা করেছি। তাদের থেকেও দু’জন আক্রান্ত পেয়েছি। পরবর্তী সময়ে তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে তাদের সঙ্গে বিদেশ থেকে আসা মানুষের সংস্পর্শে আসার ইতিহাস ছিল। সে সব বিষয় বিশ্লেষণ করে বাংলাদেশে লোকাল ট্রান্সমিশন হয়েছে সেটা এখনও বলা যাবে না।
মীরজাদী ফ্লোরা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে কেউ আক্রান্ত হয়নি। এ পর্যন্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৩৯ জন হয়েছে। মোট মারা গেছেন পাঁচজন। এর মধ্যে সবশেষ যিনি মারা গেছেন তার বয়স ৬৫ বছর ছিল। তিনি একজন বিদেশফেরতের সংস্পর্শে এসেছিলেন। ১৮ মার্চ কোভিড-১৯ পজিটিভ শনাক্ত হয়। তিনি প্রথমে এলাকার একটি হাসপাতালে আইসিইউতে ছিলেন। পরে আমাদের মাধ্যমে ওনার চিকিৎসা হয়। তিনি দীর্ঘদিন উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসে ভুগছিলেন।
‘দেশে নভেল করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন এমন আরো দু’জনের পর পর দু’বার নমুনা পরীক্ষার পর নেগেটিভ হওয়ায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৭ জন। ’
তিনি বলেন, খুব প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হবেন না। এমনকি হাসপাতালেও যাবেন না। গত ২৪ ঘণ্টায় ৮২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। মোট পরীক্ষা করা হয়েছে ৭৯৪ জনের। আইসোলেশনে আছেন ৪৭ জন। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়োরেন্টিনে ৪৭ জন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৬ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০২০
পিএস/এএ