তারা বলছেন, দেশের দুর্যোগপূর্ণ এ সময়ে চা বাগান বন্ধ রাখলে তা সবার জন্যই উপকারি হতো।
এদিকে, করোনা ভাইরাসের বিস্তাররোধে মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ উপজেলার চা বাগানের সব দেশীয় মদের পাট্টা (মদের দোকান) অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
সম্প্রতি শ্রীমঙ্গল উপজেলার নির্বাহী অফিসার নজরুল ইসলাম ও কমলগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী অফিসার আশেকুল হক পৃথকভাবে এ নির্দেশনা দেন। এর ফলে শ্রীমঙ্গলে ১৪টি ও কমলগঞ্জে ৯টি দেশি মদের দোকান বন্ধ থাকবে। এ আদেশ আমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়।
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রামভজন কৈরি বাংলানিউজকে বলেন, করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে এখন কিছুদিন চা বাগানগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হলে সবদিক থেকে ভাল হতো। আমরা ইউনিয়ন থেকে বন্ধ করলেই তো আর দেশের চা বাগানগুলো বন্ধ হবে না। সেক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নিতে হবে চা বাগান মালিকদের।
তিনি আরও বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে চা বাগানের মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা এতে অসম্মত নন। তবে তারা এ কথা বলেছেন যে, অন্য যে মিল-কারখানাগুলো এখনো চালু আছে, সেগুলো বন্ধের ঘোষণা আসলে তারাও সে মোতাবেক সিদ্ধান্ত নেবেন।
ফুলছড়া চা বাগানের শ্রমিক নেতা জগবন্ধু ব্যানার্জি বাংলানিউজকে বলেন, এ দুর্যোগময় পরিস্থিতিতে দেশের সমস্ত চা বাগানে কিছুদিনের ছুটি দিয়ে চা শ্রমিকদের যেন চাল, ডাল, তেলসহ আর্থিক সহায়তার জন্য সরকারকে অনুরোধ করছি।
বাংলাদেশ চা বোর্ডের সহযোগী প্রতিষ্ঠান প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিটের (পিডিইউ) ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ড. একেএম রফিকুল হক বলেন, চা শ্রমিকরা সাধারণত প্রান্তিক অঞ্চলে থাকেন। তবে তারা যদি শহরের মানুষের সঙ্গে এসে মিশেন তবেই বিষয়টি আতংকের।
মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের জেলায় চা বাগানগুলো বন্ধের কোনো সিদ্ধান্ত সরকার থেকে এখনো আসেনি। আসলে আপনাদের জানিয়ে দেয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০২০
বিবিবি/এবি