স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে।
ফেনীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোছা. সুমনী আক্তার জানান, প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য ফেনীতে স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, অপরাপর উপজেলা সমূহেও প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন করছে সরকার। সদর উপজেলায় মাহবুবুল হক পেয়ারা সুইমিং পুল, ফুলগাজী যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, দাগনভূঞা উপজেলায় জেলা পরিষদের ডাক বাংলোকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরীন সুলতানা জানান, প্রাতিষ্ঠানিক হোম কোয়ারেন্টিন মাহবুবুল হক পেয়ারা সুইমিং পুলে প্রাথমিক পর্যায়ে ১০ শয্যা তৈরি করা হচ্ছে। প্রয়োজন অনুসারে পর্যায়ক্রমে পুরো সুইমিংপুলকে কোয়ারেন্টিনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন।
অপরদিকে ছাগলনাইয়া উপজেলার পূর্ব হরিপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির উদ্যোগে ১০ শয্যার কোয়ারেন্টিন সেন্টার চালু করা হয়েছে। করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের স্বাস্থ্য সেবা দেয়ার লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার এই কোয়ারেন্টিন সেন্টারটি খোলা হয়। সোমবার সন্ধ্যায় কোয়ারেন্টিন সেন্টার খোলার কথা নিশ্চিত করেছেন ছাগলনাইয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো: শিহাব উদ্দিন। তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে ১০ শয্যার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রয়োজন দেখা দিলে দ্রুত শয্যা সংখ্যা বাড়ানো যাবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাজিয়া তাহের বলেন, করোনা ভাইরাস আক্রান্ত দেশ থেকে ফেরা প্রবাসীরা যদি এখানে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে চান তাহলে তাদেরকে এখানে রাখা হবে।
স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, জেলায় করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য ১শ ৫ শয্যার আইসোলেশন প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মধ্যে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ৩৫ শয্যা ও মহিপাল ট্রমা সেন্টারে ৩০ শয্যা, সোনাগাজীর মঙ্গলকান্দি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০ শয্যা, জেলার অপর ৫ উপজেলা সোনাগাজী, ফুলগাজী, পরশুরাম, ছাগলনাইয়া ও দাগনভূঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩ শয্যা রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০২০
এসএইচডি/এমকেআর