বুধবার (২৫ মার্চ) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, মার্চ মাসে পিপিই সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ লাখ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, করনা পরিস্থিতিতে সংক্রমণ সংক্রান্ত তথ্য ও চিকিৎসাসেবা দেওয়ার জন্য মোট ১৪ হাজার ৮৬৪ চিকিৎসক ও চিকিৎসা শিক্ষার্থী স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করতে নিবন্ধন করেছেন। কভিড-১৯ বিষয়ক অনলাইন কোর্স সম্পন্ন করেছেন ৩ হাজার ৪৬১ জন। হটলাইন সিস্টেমে চিকিৎসাসেবা ও তথ্য প্রদানে যুক্ত হয়েছেন ৬৫৬ জন।
‘গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে হোম কোয়ারেন্টিনেসহ হাসপাতাল ও অন্যান্য কোয়ারেন্টিনে আছেন ৬ হাজার ২২৪ জন। এছাড়া গত ২১ জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত মোট কোয়ারেন্টিনে থাকা মানুষের সংখ্যা ৪৩ হাজার ২৬২। ছাড়পত্র পেয়েছেন ১২ হাজার ৮৩৯ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টিনে আছেন ৩০ হাজার ৪২৩ জন। ’
আইইডিসিআরের তথ্য উল্লেখ করে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনা ভাইরাস (কভিড-১৯) আক্রান্ত সন্দেহে এ পর্যন্ত ৭৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ৮২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে কাউকে করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়নি। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সর্বশেষ যিনি মারা গেছেন তার বয়স ছিল ৬৫ বছর। তিনি একজন বিদেশ ফেরতের সংস্পর্শে গিয়েছিলেন। ১৮ মার্চ তার কভিড-১৯ পজিটিভ ধরা পড়ে। তিনি প্রথমে এলাকার একটি হাসপাতালের আইসিইউতে ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসে ভুগছিলেন।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় নভেল করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন এমন ২ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৭ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দেশে এ পর্যন্ত সর্বমোট ৩১৪ জন আইসোলেশনে ছিলেন। এদের মধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন ২৬৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আইসোলেশনে আছেন ৪৭ জন। এসবের বাইরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন ৪৭ জন।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৯ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০২০
পিএস/এইচজে