ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

রাষ্ট্রকে এগিয়ে নেওয়াই সবার সম্মিলিত লক্ষ্য: তথ্যমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২১
রাষ্ট্রকে এগিয়ে নেওয়াই সবার সম্মিলিত লক্ষ্য: তথ্যমন্ত্রী

ঢাকা: রাষ্ট্রকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই সবার সম্মিলিত লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

রোববার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নবনির্বাচিত পরিষদের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।

এ সময় তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান উপস্থিত ছিলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নবনির্বাচিত কমিটিকে অভিনন্দন জানাই। সংগঠনটি ঢাকা শহরের সব রিপোর্টারদের একটি সংগঠন। এখানে কোনো রাজনৈতিক বিভাজন নেই, এটি সবচেয়ে বড় কথা। সাংবাদিকদের বহু সংগঠনের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিভাজন আছে, কিন্তু এ সংগঠনে সেটি হয়নি। আশা করছি কখনো হবেও না।

তিনি বলেন, আমি একটি আবেদন আপনাদের কাছে রাখব। একটি সামাজ বা রাষ্ট্রকে সামনের দিকে যদি এগিয়ে নিয়ে যেতে হয় তাহলে একটি আশা থাকতে হয়। আশাহীন মানুষও সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারে না। সামাজ বা রাষ্ট্রের ক্ষেত্রেও সেটিই বাস্তবতা। আমাদের সমাজের বিভিন্ন অসঙ্গতি যেমন তুলে ধরতে হবে একইসঙ্গে মানুষকে আশান্বিত করার জন্য রাষ্ট্র যে আজকে এগিয়ে যাচ্ছে, সে বিষয়টিও আপনাদের তুলে ধরার জন্য অনুরোধ জানাই। তাহলেই কিন্তু আমাদের দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব।

রিপোর্টাররাই সংবাদ মাধ্যমের প্রাণ উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, তারাই সংবাদ সংগ্রহ করে। রিপোর্টাররা যদি সঠিকভাবে রিপোর্ট না করে তাহলে সংবাদ মাধ্যমে সঠিক সংবাদ পরিবেশিত হবে না। সেজন্য যারা মাঠে-ময়দানে খেটে রিপোর্ট সংগ্রহ করেন, তাদের অবদান অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আপনারা সেটি করছেন। বেস্ট রিপোর্টিংয়ের জন্য ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি থেকে অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়, আমি এজন্য ধন্যবাদ জানাই। এটি অব্যাহত রাখার জন্য আমি অনুরোধ জানাচ্ছি।

প্রতিমন্ত্রী ডা. মো: মুরাদ হাসান বলেন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নবনির্বাচিত কমিটি, তরুণ নেতৃত্ব; যাদের মধ্যে অদম্য উদ্দীপনা রয়েছে। আপনাদের গতিশীল নেতৃত্বের মধ্যে দিয়ে যে লক্ষ্য আছে তা পূরণ করতে সক্ষম হবেন বলে আমি আশাবাদ ব্যক্ত করছি। বাংলাদেশের গণমাধ্যমকে একটি নতুন উচ্চতায় পৌঁছাতে পারবেন বলেও আমি মনে করছি।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মুরসালিন নোমানী বলেন, আমরা সবাই মিলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যক্রমকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। সংগঠনের দুই সদস্য সাগর ও রুনি হত্যার বিচার তরান্বিত করতে মন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করছি।

সাধারণ সম্পাদক মসিউর রহমান খান বলেন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি সাংবাদিকদের কল্যাণে কাজ করে। আমরা তথ্য মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা পেয়ে এসেছি, ভবিষ্যতেও পাব বলে আশা করছি।

মতবিনিময় সভায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সহ-সভাপতি ওসমান গনি বাবুল, যুগ্ম-সম্পাদক আরাফাত দাড়িয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল, অর্থ সম্পাদক শাহ আলম নূর, তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক হালিম মোহাম্মদ, ক্রীড়া সম্পাদক মাকসুদা লিসা, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মিজান চৌধুরী, আপ্যায়ন সম্পাদক মোহাম্মদ নইমুদ্দীন, কল্যাণ সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহসহ কার্যনির্বাহী সদস্য এমএম জসিম, আজিজুর রহমান (রহমান আজিজ), রোমানা জামান, রফিক রাফি, নার্গিস জুঁই ও জাহাঙ্গীর কিরণ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২১
জিসিজি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।