ঢাকা: রাজধানীর খিলগাঁও থানাধীন দক্ষিণ বনশ্রী এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি প্রতারক চক্রের নারীসহ ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা তেজগাঁও বিভাগের একটি টিম।
প্রতারক এই চক্রের সদস্যরা নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে পথচারীদের টেনে হেঁচড়ে ভবনের ভেতরে নিয়ে নারী সহকর্মী সঙ্গে অশ্লীল ভঙ্গিতে ছবি ও ভিডিও করে ব্ল্যাকমেইল করে টাকা দাবি করে আসছিলো।
গ্রেফতার প্রতারক চক্রের সদস্যরা হলেন- বদিউজ্জামান শাহীন (৪০), মিজানুর রহমান (৪৫), ফয়সাল আহম্মেদ (২৩), কামরুজ্জামান সোহেল (৩২), সাইফুল ইসলাম ইমরান (৩১) ও বিথী আক্তার সোমা (২৬)। অভিযানে তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন ব্যাংকের ৫টি এটিএম কার্ড, বাংলাদেশ পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর পদ মর্যাদার র্যাংক ব্যাজসহ ইউনিফর্ম, বেল্ট ও ফিল্ড ক্যাপ উদ্ধার করা হয়।
বুধবার (১০ মার্চ) বিকেলে ডিএসপির গোয়েন্দা তেজগাঁও বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মো. বায়েজীদুর রহমান বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত খিলগাঁও থানার দক্ষিণ বনশ্রী এলাকায় অভিযান চালিয়ে চক্রের ৬ প্রতারককে গ্রেফতার করা হয়।
ডিবির এই কর্মকর্তা আরও বলেন, গত ২২ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টায় খিলগাঁও থানার তিলপাপাড়া এলাকার উত্তরণ ক্লাবের কাছে ভুক্তভোগী কাওসার আহমেদ রনিকে কয়েকজন লোক জোরপূর্বক টেনে-হিঁচড়ে একটি বাড়িতে নিয়ে যায়। নিজেদের পুলিশ সদস্য পরিচয় দিয়ে ভয়-ভীতি দেখায় ও তাদের সহযোগী নারী সদস্যের সঙ্গে আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করে। এরপর ১ লাখ টাকা দাবি করে প্রতারক চক্রটি। দাবি করা টাকা না দিলে ভুক্তভোগীর পরিবারকে সামাজিকভাবে হেনস্থা করবে বলে হুমকিও দেয় প্রতারকরা। এরপর বাধ্য হয়ে ভুক্তভোগী রনি ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এটিএম কার্ড ও রকেট অ্যাপস থেকে ৯০ হাজার টাকা দেয় তাদেরকে। পরবর্তীতে এই ঘটনায় ভুক্তভোগীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে ৮ মার্চ খিলগাঁও থানায় মামলা রুজু হয়। মামলাটি তদন্ত শুরু করে গোয়েন্দা তেজগাঁও বিভাগ।
তিনি বলেন, তথ্য-প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের অবস্থান শনাক্ত করে দক্ষিণ বনশ্রী এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানিয়েছেন, তারা ওই মামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকার করে। এছাড়াও আসামিদের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা থাকার তথ্য পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৬ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০২১
এসজেএ/এএটি