ঢাকা, সোমবার, ৫ মাঘ ১৪৩১, ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

নরসিংদীতে ইউএমসি জুট মিলের শ্রমিকদের সমাবেশ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২১
নরসিংদীতে ইউএমসি জুট মিলের শ্রমিকদের সমাবেশ ইউএমসি জুট মিলের শ্রমিকদের সমাবেশ। ছবি: বাংলানিউজ

নরসিংদী: চাকরি স্থায়ী, বদলি ও মৃত শ্রমিকদের চূড়ান্ত পাওনা পরিশোধের দাবিতে নরসিংদী ইউএমসি জুট মিলের কয়েক শতাধিক বদলি শ্রমিক-কর্মচারী মূল গেটের সামনে নরসিংদী সদরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড টু নাগরিয়াকান্দি সড়ক অবরোধ করে সমাবেশ করেছেন।  

সোমবার (১৫ মার্চ) সকাল ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টাব্যাপী সড়ক অবরোধ করে রাখেন আন্দোলনকারীরা।

এর আগে চলতি বছরের ৮ মার্চ প্রথমবারের মতো পাওনা টাকা পরিশোধের জন্য আন্দোলন করেন শ্রমিকরা।

আন্দোলনকারী শ্রমিকরা জানায়, সরকার ২০২০ সালের ১ জুলাই ইউএমসি মিলটির কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। তারপর সেপ্টেম্বরের মধ্যেই সব পাওনা টাকা পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দেয় মিল কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে শ্রমিকরা বেশ কয়েকবার মিলে যোগাযোগ করলেও টাকা পরিশোধ করেনি। সবশেষ সোমবার সকালে ২০১৯ সালের বকেয়া বিল, বদলি শ্রমিকের এরিয়া বিল, মৃত শ্রমিকদের মৃতদাবি, মহার্ঘ ভাতার বকেয়া বিল ও সমস্ত শ্রমিকদের বেতনাদির চূড়ান্ত হিসাব প্রদানসহ মোট ৯টি দাবিতে মিলগেটে সমবেত হয় শ্রমিকরা। যতদিন পর্যন্ত দাবি মানা না হবে ততদিন পর্যন্ত এ আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছেন শ্রমিকরা।
তাদের দেওয়া তথ্যমতে ২৯০০ জন শ্রমিকের মোট পাওনা ২১ কোটি ১৭ লাখ টাকা।  

শাহাদত মিয়া নামে এক শ্রমিক বলেন, আমি গত ৪ বছর এখানে কাজ করেছি। আমার ৯ মাসের একটি সন্তান আছে। তার দুধ কেনার টাকার জন্যেও মানুষের কাছে হাত পাততে হচ্ছে।

আলমগীর হোসেন নামে এক বদলি শ্রমিক কাজ করেছেন টানা পাঁচ বছর। তিনি বলেন, এখন রাজমিস্ত্রির কাজ করে সংসার চালাচ্ছি। চাকরি নাই, পাওনা টাকাও দিচ্ছে না। এমন দিনও যায় যেদিন একবেলা খাবার খাই। এভাবে চলতে থাকলে পরিবার রেখে দুচোখ যেদিকে যায় চলে যেতে হবে।

শফিকুর রহমান নামে অপর এক বদলি শ্রমিক কাজ করেছেন ২২ বছর। তিনি বলেন, জীবনটাই তো কাটালাম এখানে। এখন আমাদের টাকাই দেয় না, এভাবে চললে আমাদের ২৯০০ শ্রমিককে না খেয়ে মরতে হবে।

ইউনাইটেড, মেঘনা, চাঁদপুর জুট মিল (ইউএমসি) এর জেনারেল ম্যানেজার শাহাদাত হোসেন বলেন, সারাদেশের ২৫টি মিলের শ্রমিকদের টাকা আটকে আছে। তার মধ্যে আমাদের মিলও রয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে টাকা আসছে এই মর্মে কোনো নোটিস বা চিঠি আমরা এখনো পাইনি। টাকা এলে অবশ্যই দিয়ে দেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২১
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।