ঢাকা, সোমবার, ৫ মাঘ ১৪৩১, ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে লাইব্রেরির বিকল্প নেই

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২২ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২১
মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে লাইব্রেরির বিকল্প নেই মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে লাইব্রেরির বিকল্প নেই

ঢাকা: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ২১ বছর নতুন প্রজন্ম বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানা থেকে বঞ্চিত ছিলো। তাদের এ বিষয়ে অন্ধকারে রাখা হয়েছিলো।

সেই ২১ বছর জাতির যে ক্ষতি হয়েছে, তা পুষিয়ে নিতে কমপক্ষে ৪২ বছর সময় লাগবে।  

১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে বিশেষ করে বিগত ১২ বছরে এ অবস্থার অনেক পরিবর্তন হয়েছে। নতুন প্রজন্ম মহান মুক্তিযুদ্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর অবদান, তার জীবন ও কর্ম এবং মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারছে।

সোমবার (১৫ মার্চ) রাজধানীর গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর প্রাঙ্গণে জাতির পিতার জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে 'জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র' আয়োজিত বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক তিনদিনব্যাপী পুস্তক প্রদর্শনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

কে এম খালিদ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে জানাতে মুখ্য ভূমিকা পালন করছেন বই সংশ্লিষ্ট আলোকিত মানুষজন- লেখক, প্রকাশক, বুদ্ধিজীবী থেকে শুরু করে বইপ্রেমী সাধারণ জনগণ। সেজন্য নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস পৌঁছে দিতে লাইব্রেরির বিকল্প নেই।

তিনি বলেন, একটি কথা প্রচলিত আছে যে বঙ্গবন্ধু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বিপথগামী সেনা সদস্যদের হাতে নিহত হয়েছেন যা সর্বৈব মিথ্যা। প্রকৃত সত্য হলো, স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির পরিকল্পনা ও চক্রান্তে এবং জিয়াউর রহমানের মদদে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিলো। প্রতিমন্ত্রী এ সময় মুক্তিযুদ্ধকালীন স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকার-আলবদর কর্তৃক নিজের নির্যাতিত হওয়ার ঘটনা তুলে ধরেন।

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. বদরুল আরেফীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন- গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবুবকর সিদ্দিক ও ৭১ টেলিভিশনের প্রধান সম্পাদক মোজাম্মেল বাবু। স্বাগত বক্তব্য দেন জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক মিনার মনসুর। আবৃত্তি করেন বিশিষ্ট আবৃত্তিশিল্পী রূপা চক্রবর্তী।

প্রতিমন্ত্রী এর আগে গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের অধীনস্থ সুফিয়া কামাল জাতীয় গণগ্রন্থাগারে 'ব্রেইল কর্নার' উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনকালে গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবুবকর সিদ্দিক এবং স্পর্শ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি নাজিয়া জেবীনসহ গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

 ব্রেইল কর্নারটি স্থাপনে সহযোগিতা করেছে 'স্পর্শ ফাউন্ডেশন' যারা দীর্ঘদিন থেকে দৃষ্টিজয়ী মানুষের সেবায় কাজ করছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিবস ও জাতীয় শিশু দিবসকে সামনে রেখে গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর কর্তৃক এ কর্নারটি স্থাপন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২১
ডিএন/এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।