সুনামগঞ্জ: হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা জুনাইদ আহমদ বাবুনগরী বলেছেন, ইসলামের বিরোধিতাকারীরা কোনোকালেও টিকে থাকতে পারেনি। নমরুদ, ফেরাউনরাও ইসলামের বিরোধিতা করে উৎখাত হয়েছে, ইসলামের দুশমন আবু জাহেল নবীজীর বিরোধিতা করে টিকতে পারেনি।
সোমবার (১৫ মার্চ) বিকেলে সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে পৌর শহরের স্টেডিয়াম মাঠে হেফাজতে ইসলাম উপজেলা শাখা আয়োজিত শানে রিসালাত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, যারা নবীর নামে কুৎসা রটনা করে, বিরুদ্ধাচারণ করে তাদের বিরুদ্ধে সংসদে আইন পাসের মধ্য দিয়ে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড বিধান রাখতে হবে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের আন্দোলন ক্ষমতার জন্য নয়, দুনিয়ার মাটিতে নবীজীর সম্মান রক্ষার জন্য। প্রয়োজনে রক্ত ঝরাবে বাংলাদেশ হেফাজতে ইসলাম।
এর আগে দুপুর ১টায় শানে রিসালাত সম্মেলনে যোগ দিতে হেলিকপ্টারে করে মজলিশপুরস্থ হেলিপ্যাডে অবতরণ করে সমাবেশস্থলের পাশে হাফিজিয়া হুসাইনিয়া মাদরাসায় পৌঁছেন হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা জুনাইদ আহমদ বাবুনগরী। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন-হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির নায়েবে আমীর নুরুল ইসলাম খান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব জুনাইদ আল-হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হক, যুগ্ম মহাসচিব নাছির উদ্দিন মুনির সহ হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতারা।
বিকেলে সমাবেশস্থলে পৌঁছেন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতারা। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মাওলানা শেখ আজিজুর রহমান ও যৌথভাবে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সিনিয়র সহ সভাপতি মাওলানা নুর উদ্দিন আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক মুক্তার হোসেন চৌধুরী।
এসময় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক বলেন, নবীজীর দুশমন, নবীজীকে নিয়ে কটূক্তিকারীদের মৃত্যুদণ্ডের বিধান পাস করতে হবে। এ দাবি আদায়ে প্রয়োজনে নবী প্রেমিকরা রক্ত ঝরাবে। আমাদের স্পষ্ট কথা মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা আদালত ও শাসক দলের দায়িত্ব। মুসলিম দেশ হিসেবে যদি তা না করা হয় তাহলে রাষ্ট্র ব্যর্থতার পরিচয় দেবে। দাবি একটাই মৃত্যুদণ্ডের আইন পাস করতে হবে।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন সাবেক এমপি মাওলানা শাহিনুর পাশা চৌধুরী, মাওলানা সোয়েব আহমদ, মুফতি সফিকুল আহাদ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২১২২ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২১
আরএ