ঢাকা, সোমবার, ৫ মাঘ ১৪৩১, ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য বাজেট বাড়ানোর দাবি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪২৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২১
প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য বাজেট বাড়ানোর দাবি ফাইল ছবি

ঢাকা: প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা সমাজের বোঝা নয়। তাদের সম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।

এজন্য তাদের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। তাদের প্রতি করুণা নয়, তাদের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিবন্ধী সুরক্ষা আইন-২০১৩ এর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সামগ্রিক জীবন-মানের উন্নয়নের জন্য জাতীয় বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধি ও বাজেট প্রণয়নে তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।  

এসব অভিমত উঠে এসেছে কালের কণ্ঠ, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড ও এডিডি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (অ্যাকশন অন ডিজঅ্যাবিলিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ)-এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘প্রতিবন্ধীতা অন্তর্ভুক্তিমূলক বাজেট: বর্তমান প্রেক্ষিত ও সুপারিশ’ শীর্ষক ভার্চ্যুয়াল গোলটেবিল আলোচনায়।

সোমবার (১৫ মার্চ) বিকেল ৩টায় এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।  

আলোচনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।  

এডিডি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরিক্টর মো. শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কালের কণ্ঠের ডেপুটি চিফ রিপোর্টার তৌফিক মারুফ।  

আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন পরিচালক হামিদুল হক, সুইড বাংলাদেশের সভাপতি জহিরুল ইসলাম মামুন, সাইটসেভার্স ইন্টারন্যাশনালের কান্ট্রি ডিরেক্টর অমৃতা রেজিনা রোজারিও, এডিডি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের হেড অব প্রোগ্রাম গোলাম ফারুক হামিম, একসেস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মোল্লা আলবার্ট,  বি-স্ক্যানের সাধারণ সম্পাদক সালমা মাহবুব, এনসিডিডাব্লিউ’র সভাপতি নাছিমা আখতার, এনজিডিও’র সভাপতি সুশান্ত কুমার দাস, এনএফওডাব্লিউডি’র সভাপতি সাইদুল হক, জাগরণ প্রতিবন্ধী নারী পরিষদের সহ সভাপতি ইয়াছমিন খাতুন, সংগ্রামী প্রতিবন্ধী সমাজকল্যাণ সংস্থার সভাপতি শামীম আহমেদ ও পায়রাবন্দ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফয়জার রহমান খান।  

প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এডিডি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের ফিল্ড অপারেশন ম্যানাজার মো. রফিকুজ্জামান বিশ্বাস। ইশারা ভাষায় অনুষ্ঠানটি উপস্থাপন করেন আরাফাত সুলতানা লতা।

মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী কাউকেই বাদ দেননি, তিনি গুরুত্বের সঙ্গে অটিজমকে আমলে নিয়েছেন। সায়মা ওয়াজেদ পুতুল এই প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিয়ে কাজ করে আন্তর্জাতিকভাবে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছেন।

জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন পরিচালক হামিদুল হক বলেন, প্রতিবন্ধী সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করা দরকার।

এডিডি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, এডিডি ইন্টারন্যাশাল বাংলাদেশ সবার সঙ্গে মিলেই বাংলাদেশে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উন্নয়ন, তাদের সংগঠিত করা, তাদের জন্য সংগঠন সৃষ্টি করা, সক্ষমতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে কাজ করছে।

সুইড বাংলাদেশের সভাপতি জহিরুল ইসলাম মামুন বলেন, ২০১৩ সালের প্রতিবন্ধী সুরক্ষা আইনে যা যা অধিকার আছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে নিয়ে তার আলোকে বাজেট বরাদ্দ রাখতে হবে।

এডিডি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের ফিল্ড অপারেশন ম্যানেজার মো. রফিকুজ্জামান বিশ্বাস বলেন, এডিডি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ মাঠ পর্যায়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহযোগিতায় ২০১৮ সাল থেকে জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের বাজেট ক্যাম্পেইন সুপারিশ করে আসছে।

আগামী অর্থবছরের বাজেটে দরিদ্র প্রতিবন্ধীদের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা ও শিক্ষার আওতায় আনতে প্রতিটি শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি দিতে বাজেট বরাদ্দ রাখাসহ বিভিন্ন সুপারিশ তুলে ধরেন এডিডি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের ফিল্ড অপারেশন ম্যানেজার মো. রফিকুজ্জামান বিশ্বাস।

বাংলাদেশ সময়: ০৪২৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২১
এসই/এইচএডি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।