ঢাকা, সোমবার, ৫ মাঘ ১৪৩১, ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অশ্লীল ভিডিও ছড়ানোর অভিযোগে গ্রেফতার ৫

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২১
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অশ্লীল ভিডিও ছড়ানোর অভিযোগে গ্রেফতার ৫ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অশ্লীল ভিডিও ছড়ানোর অভিযোগে গ্রেফতার ৫।

ঢাকা: অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ ভিডিও কনটেন্ট তৈরি ও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানোর দায়ে পাঁচ আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। ঢাকার পাশ্ববর্তী জেলা গাজীপুর থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) বিকালে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিআইডির সাইবার পুলিশ ইউনিটের অতিরিক্ত ডিআইজি কামরুল আহসান।

গ্রেফতার আসামিরা হলেন- 'কমেন্ট মিডিয়া' এর পরিচালক এবং কন্টেন্ট ক্রিয়েটর ও প্রযোজক মো. মনির হোসেন রাজু, কেএমএইচ টিভির পরিচালক, কন্টেন্ট ক্রিয়েটর ও প্রয়োজক এবং অভিনেতা কাজী মনির হোসেন, ক্যামেরাম্যান রফিকুল ইসলাম, চ্যানেল 'এস কে আগুন' এর পরিচালনাকারী ও অভিনেতা এস কে আগুন ও বিভিন্ন অশ্লীল ভিডিও'র অভিনেতা ও পরিচালক আসিফ আরাফাত। অভিযানে তাদের কাছ থেকো অশ্লীল ভিডিও তৈরির কাজে ব্যবহৃত ক্যামেরা, হার্ডড্রাইভ, পেনড্রাইভ ও মােবাইল ফোন জব্দ করা হয়।

সিআইডির সাইবার পুলিশ ইউনিটের অতিরিক্ত ডিআইজি কামরুল আহসান বলেন, বিপুল পরিমাণ টাকা উপার্জনের লোভে পড়ে আসামিরা অশ্লীল ভিডিও তৈরির পর তা ফেসবুক ও ইউটিউবে ছড়িয়ে আসছিলো। এতে সমাজে নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি হওয়ায় গাজীপুরে অভিযান চালিয়ে তাদের পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

তিনি বলেন, ডিজিটাল মাধ্যমে বিভিন্ন অশ্লীল ভিডিও তৈরি করে ইউটিউবসহ বিভিন্ন প্লাটফর্মে প্রচার করে আসছিলো একটি চক্র। চক্রটি দেশের কয়েকটি জেলার বিভিন্ন হোটেল ও রিসোর্ট ভাড়া নিয়ে এমন ভিডিও তৈরি করত। এমনকি তারা এই কন্টেন্ট তৈরি করে বিপুল পরিমাণ টাকা আয় করছে। বিষয়টি সাইবার পুলিশের নজরে আসলে দীর্ঘদিন তদন্ত শেষে ঢাকা ও গাজীপুরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

তদন্তে এমন আরও ১৫-১৬টি চক্রের সন্ধান পাওয়া গেছে। তাদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে।

আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে সিআইডির এই কর্মকর্তা বলেন, তারা অভিনয়ের কথা বলে বিভিন্ন আগ্রহী অভিনেতা-অভিনেত্রীদের নিয়ে এ ধরণের অশ্লীল ভিডিও তৈরির কাজ করে থাকে। পরবর্তীতে তৈরিকৃত ভিডিওগুলাে বিভিন্ন চটকদার শিরোনাম দিয়ে ইউটিউবসহ বিভিন্ন ডিজিটাল প্লাটফর্মে প্রচার করে। প্রচার করা ভিডিও বিভিন্ন চ্যানেল ও ডিজিটাল প্লাটফর্মে সাবস্ক্রাইবার ও ভিউ বৃদ্ধির মাধ্যমে অনেক টাকা আয় করেছে।

এমন ভিডিও তৈরিতে শুটিং স্পষ্ট ও সহায়তাকারীদের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না? এক প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত ডিআইজি কামরুল আহসান বলেন, আমরা মাত্র এই ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে কাজ শুরু করেছি। আমাদের তদন্তে এরই মধ্যে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের নাম পেয়েছি। এছাড়া ভিডিও তৈরিতে সহযোগিতা করছে এমন কিছু হোটেল ও রিসোর্ট এর তথ্য পেয়েছি। এছাড়া তারা যে টাকা আয় করেছে তার বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। যদি কোনো অনিয়ম ধরা পরে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, আমরা এরই মধ্যে টিকটিক, লাইকি, ভিগোসহ বেশ কিছু অ্যাপের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রক্রিয়া শুরু করেছি। খুব দ্রুতই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই ধরনের কন্টেন্ট সামাজিক অবক্ষয়, পারিবারিক কলহসহ নানা আপরাধের জন্ম দিচ্ছে বলে আমরা মনে করি।

যদি কেউ এধরনের কর্মকাণ্ডে ভুক্তভোগী হয় তবে আমাদের কাছে কিংবা নিকটস্থ থানায় জিডি বা অভিযোগ করলে সেটি খতিয়ে দেখা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২১
এসজেএ/কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।