গাইবান্ধা: স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং মুজিববর্ষকে সারা বিশ্বে স্মরণীয় করে রাখতে গাইবান্ধায় বিশ্বের দীর্ঘতম আল্পনা আঁকার কার্যক্রম শেষ করেছে শিক্ষার্থীদের সংগঠন পাবলিক ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস্ অ্যাসোসিয়েশন অব গাইবান্ধা (পুসাগ)।
নির্ধারিত ২৪ ঘণ্টার আগেই মাত্র ২২ ঘণ্টায় ১০.৪ কিলোমিটার সড়ক জুড়ে আল্পনা আঁকা শেষ করতে সক্ষম হয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (১৯ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় সদর উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন সড়কে ফিতা কেটে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিন দীর্ঘতম এবং অপরিসীম শ্রমসাধ্য বর্ণিল এই সড়ক আল্পনার সমাপনী টানেন।
আল্পনা আঁকায় বদলে গেছে গাইবান্ধা-সাঘাটা-বাদিয়াখালী সড়ক। শিক্ষার্থীদের হাতের শৈল্পিক ছোঁয়ায় রং তুলির আঁচড়ে দৃষ্টিনন্দন সড়কটি নজর কেড়েছে সবার। সাত রঙে রাঙা পিচঢালা এই পথে চলতে গিয়ে অবাক পথচারীরাও।
বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে জেলা শহরের পুলিশ লাইনের সম্মুখ থেকে এ আল্পনা আঁকা শুরু হয়। সড়কেই নাওয়া-খাওয়া, সড়কেই বিশ্রাম। এমনিভাবে পরদিন শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত টানা ২২ ঘণ্টায় গাইবান্ধা শহর থেকে বাদিয়াখালী পর্যন্ত ১০.৪ কিলোমিটার সড়কে শেষ হয় আল্পনা আঁকার কাজ।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় যখন সাঘাটার ভাঙ্গামোড়ে গিয়ে পৌঁছায় শিক্ষার্থীরা তখন আল্পনা উৎসবের উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বি মিয়া এমপি। এসময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন- গাইবান্ধা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমান সরকার আতা, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম। তারাও একপর্যায়ে রং তুলি নিয়ে আল্পনা আঁকায় অংশ নেন।
সংগঠনের সভাপতি হুসেইন মো. জীম ও সাধারণ সম্পাদক একে প্রামাণিক পার্থ বাংলানিউজকে জানান, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং মুজিববর্ষকে সারা বিশ্বে স্মরণীয় করে রাখতেই বর্ণিল-নান্দনিক এ কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আমরা ২২ ঘণ্টায় ১০ কিলোমিটার সড়কে আল্পনা আঁকা সম্পন্ন করতে সক্ষম হওয়ায় গিনিস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে বিশ্বের দীর্ঘতম আল্পনা অংকিত সড়ক হিসেবে স্বীকৃতি পেতে চাই।
হুসেইন মো. জীম আরো জানান, এ পর্যন্ত বিশ্বে সর্বোচ্চ ৩ দশমিক ৯ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়ক জুড়ে আল্পনা আঁকা হয়েছে। যা ভারতের নদীয়ার ফলিয়াতে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০২১
আরএ