ঢাকা: স্কুল, কলেজ ও মাদরাসা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে তিনটি ক্যাটাগরিতে উগ্রবাদ বিরোধী রচনা আহ্বান করেছে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)।
শিক্ষার্থীদের মধ্যে সহিংস উগ্রবাদ বিরোধী সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে এই রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।
সিটিটিসি জানায়, তিনটি ক্যাটাগরির মধ্যে ‘ক’ গ্রুপে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির জন্য ৪,৫০০-৫,০০০ শব্দের মধ্যে ‘সহিংস উগ্রবাদের বিস্তার রোধে বাঙালি সংস্কৃতির লালন ও সুকুমার বৃত্তির চর্চার প্রয়োজনীয়তা’ শিরোনামে রচনা আহ্বান করা হয়েছে।
‘খ’ গ্রুপে (মাদরাসা) ন্যূনতম অষ্টম শ্রেণির জন্য ৪,৫০০-৫,০০০ শব্দের মধ্যে ‘প্রকৃত ধর্মীয় শিক্ষা উগ্রবাদী চেতনার পরিপন্থি’ শিরোনামে এবং ‘গ’ গ্রুপে (স্কুল) অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণির জন্য ৩,৫০০-৪,০০০ শব্দের মধ্যে ‘সহিংস উগ্রবাদ প্রতিরোধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ভূমিকা’ শিরোনামে রচনা চাওয়া হয়েছে।
রচনা পাঠানোর শেষ সময় আগামী ৫ এপ্রিল বিকেল ৫টা। রচনা পাঠানোর ঠিকানা—প্রকল্প পরিচালক, বাংলাদেশ পুলিশের সন্ত্রাস দমন ও আন্তর্জাতিক অপরাধ প্রতিরোধ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প, কক্ষ নং ৪০৭, কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট ভবন, ৩৬ মিন্টো রোড, ঢাকা। রচনা ই-মেইলে পাঠানো যাবে dcrnd.ct@dmp.gov.bd এই ঠিকানায়।
রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের জন্য প্রথম পুরস্কার ৫০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার ৩০ হাজার টাকা ও তৃতীয় পুরস্কার ২০ হাজার টাকা।
বাংলাদেশ পুলিশের সন্ত্রাস দমন ও আন্তর্জাতিক অপরাধ প্রতিরোধ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ২০২০-২০২১ অর্থবছরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট এই রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে।
রচনা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে নিয়মাবলি
১। রচনা বাংলা ভাষায় লিখতে হবে। তবে উদ্ধৃতির ক্ষেত্রে বিদেশি ভাষার ব্যবহার হতে পারে। সে ক্ষেত্রে উদ্ধৃতির বাংলা অনুবাদ থাকতে হবে।
২। এ৪ সাইজের সাদা কাগজে নিজ হাতে লিখে অথবা এমএস ওয়ার্ডে কম্পিউটার কম্পোজ (SutonnyMj ফ্রন্ট) করে পাঠাতে হবে (উভয় পৃষ্ঠায় নয়)।
৩। লেখার সঙ্গে নিজের ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম, শ্রেণি/বিভাগ, রোল, বর্ষ, শাখা এবং মোবাইল নম্বর (যোগাযোগের জন্য) উল্লেখ করতে হবে।
৪। প্রতিযোগীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রদত্ত শিক্ষার্থীর পরিচয়পত্রের ফটোকপি ও পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি ছবি পাঠাতে হবে।
৫। প্রতিযোগীকে রচনার সঙ্গে এই মর্মে অঙ্গীকার দাখিল করতে হবে যে, এই রচনা লেখকের নিজস্ব, রচনাটি অন্য কোনো রচনা বা রচনার বাক্যবিশেষ অবিকল নয় বা হুবহু অনুবাদ নয়। অঙ্গীকার দাখিল করা সত্ত্বেও যদি কর্তৃপক্ষের কাছে নির্ভরযোগ্য সূত্রে প্রমাণিত হয় যে, রচনাটি নকল বা অনুবাদ তাহলে তা বাতিল বলে গণ্য হবে।
৬। পুরস্কারপ্রাপ্ত রচনাসমূহের সর্বস্বত্ত্ব সিটিটিসির জন্য সংরক্ষিত থাকবে। সিটিটিসি প্রয়োজনে নির্বাচিত রচনাসমূহ বা সকল রচনা নিজস্ব ওয়েবসাইট বা বই আকারে প্রকাশ করতে পারবে।
৭। রচনা ডাকযোগে বা কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বা ই-মেইলে পাঠাতে হবে। হাতে হাতে বা সরাসরি কোনো রচনা গ্রহণযোগ্য হবে না।
৮। খামের উপর ‘উগ্রবাদ বিরোধী রচনা প্রতিযোগিতা’ লিখতে হবে।
৯। বিচারকদের রায় চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০২১
পিএম/এমজেএফ