ঢাকা: বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন নির্মাণ করেছিলেন। তিনি ধ্বংসস্তূপে পরিণত বাংলাদেশকে ফিনিক্স পাখির মতো জাগিয়ে তোলেন বলে মন্তব্য করেছেন ইতিহাসবিদ ও শিক্ষাবিদ সৈয়দ আনোয়ার হোসেন।
রোববার (২১ মার্চ) জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানমালার পঞ্চম দিনের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
‘মুজিব চিরন্তন’ প্রতিপাদ্যে দশদিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি।
রোববার পঞ্চম দিনের আলোচনার প্রতিপাদ্য ছিল ‘ধ্বংসস্তূপে জীবনের গান’। এ বিষয়ে স্বাগত বক্তব্য রাখেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এবং আলোচনায় অংশ নেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আলোচনা পর্বে জর্ডানের বাদশার পক্ষে দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ভিডিওবার্তা প্রচার করা হয়।
সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, বাংলাদেশ কীভাবে পরিচালিত হবে, তার দিকনির্দেশনা ছিল ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারির ৩৫ মিনিটের ভাষণে। তার অভ্যন্তরীণ পুনর্গঠনের সূচনা ছিল নয় মাসে সংবিধান প্রণয়ন। সম্পদের সীমাবদ্ধতা থাকলেও ভৌত অবকাঠামো তৈরি করেন।
‘তিনি শাসনামলে ১৩৪টি দেশের স্বীকৃতি অর্জন করেছিলেন। যেসব দেশ স্বীকৃতি দেয়নি তার মধ্যে ছিল সৌদি আরব, চীন, জর্ডান। তবে তাদের সঙ্গেও সম্পর্ক উন্নয়নের কাজ করছিলেন। এসব স্বীকৃতি অর্জনের জন্য তিনি কাজ করেছিলেন দেশের উন্নয়নে সহায়তা আদায়ের জন্য। ’
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পর্বে ছিল বন্ধুরাষ্ট্র চীনের সাংস্কৃতিক আয়োজন। আরো ছিল ‘মুজিব চিরন্তন’ প্রতিপাদ্যের ওপর টাইটেল অ্যানিমেশন ভিডিও, ক্যানভাসে বঙ্গবন্ধুর সাড়ে তিন বছর: শূন্য থেকে মহাশূন্যে (কাব্য, সুর ও ছন্দে কোরিওগ্রাফি), বঙ্গবন্ধুর নবজীবনের ডাক: ধূসর বাংলা থেকে সবুজ বাংলা (পালা, জারি ও গম্ভীরা পরিবেশনা), বিশ্বনেতা ও বিশ্বনাগরিকের সঙ্গে মেলবন্ধন- (মিউজিক কোরিওগ্রাফি), নারী জাগরণ ও নারীর ক্ষমতায়নে বঙ্গবন্ধু- (থিয়েট্রিক্যাল কোরিওগ্রাফি), শিশু বিকাশে বঙ্গবন্ধু: আলো আমার আলো- (১০০ জন শিশু শিল্পীর পরিবেশনা), শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে নবজাগরণ: শিল্পের সব বাহনের উৎকর্ষ সাধন, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে নাটক: ২৮৮ দিন এবং আন্তর্জাতিক সংগীত ধারার সঙ্গে সমন্বয় রেখে ব্যান্ড সংগীতের জাগরণ পরিবেশনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হবে।
সোমবার (২২ মার্চ) ষষ্ঠদিনের আয়োজনের প্রতিপাদ্য ‘বাংলার মাটি আমার মাটি’। জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে আয়োজিত উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভান্ডারী।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০২১
ডিএন/এএ