ঢাকা: নিজস্ব অর্থায়নে পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলের ক্যাপিটাল ও মেইন্টেন্যান্স ড্রেজিং কাজ হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
তিনি বলেন, আমরা নিজস্ব অর্থায়নে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবো।
বুধবার (২৪ মার্চ) দুপুরে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আজ অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীন পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের ‘পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলের ক্যাপিটাল ও মেইন্টেন্যান্স ড্রেজিং’ কার্যক্রম পিপিপি পদ্ধতির পরিবর্তে সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে বাস্তবায়নের একটি প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন বিএডিসি ভারতের ন্যাশনাল সিড করপোরেশন (এনএসসি) থেকে জেআরও-৫২৪ জাতের ৮০০ মেট্রিক টন মানঘোষিত পাটবীজ সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে আমদানির একটি প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে অতিরিক্ত সচিব জানান।
রিজার্ভ থেকে পায়রা বন্দরে যে অর্থ দেওয়া হয়েছে সেখান থেকে প্রাইভেট খাত লোন নিতে পাবে কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, আজ আমরা ক্রয় কমিটিতে পায়রা বন্দরের কোনো কিছু অনুমোদন দেইনি। তবে অর্থনৈতিক বিষয়ক সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি একটি প্রস্তাব এসেছিল, সেখানে আমরা নীতিগত অনুমোদন দিয়েছি।
‘আগামী মিটিংয়ে যখন পায়রা বন্দর নিয়ে আসবে প্রকিউরমেন্টের জন্য তখন জানা যাবে। তবে আজ আমরা নীতিগতভাবে অনুমোদন দিয়েছি যে সরকারি অর্থায়নে করা যাবে। আগে আমরা বিদেশি অর্থায়নে জয়ন্টভেঞ্চারে করবো বলেছিলাম। কিন্তু বিদেশিরা থাকলে আমাদের খরচ বেড়ে যাচ্ছে অনেক। সেজন্য আমরা সরকারি অর্থে আমরা নিজেরাই চেষ্টা করবো। ’
তিনি বলেন, আগে কথা ছিল বিদেশ থেকে টাকা দিলে করা হবে। সেখানে আমাদের প্রজেক্টের খরচ বেড়ে যায়। সেজন্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যেহেতু আমাদের কাছে অর্থ আছে সেজন্য আমরা নিজেদের টাকায় করবো। আমাদের ৪৪ বিলিয়ন রিজার্ভ থেকে একটা অর্থ এতে এখানে ব্যয় করবো। আপনারা অপেক্ষা করুন আগামী মিটিংয়ে যখন আসবে তখন আপনাদের বিস্তারিত বলা হবে।
গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে রিজার্ভ থেকে সরকারি প্রতিষ্ঠান ফান্ড পাচ্ছে, এক্ষেত্রে বেসরকারি খাতও এ ধরনের ফান্ড পাবে কিনা বা সুযোগ দেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, এখন পর্যন্ত কিছু হয়নি। যা হয়েছে সেটা আপনারা জানেন, আমি নিজেও বলেছি। প্রধানমন্ত্রী নিজেও বলেছেন, আমরা সে পর্যন্তই আছি। বেসরকারি খাতকে দেওয়া যাবে কিনা সেটা আপনারা জানতে পারবেন।
তিনি বলেন, আমাদের চাহিদা কতো আসছে সেটার ওপর নির্ভর করবে। তবে একটা নীতিমালাতো হবেই। পলিসির ওপর নির্ভর করেই আমরা এটা করবো।
তিনি বলেন, নীতিমালা হলে আপনারা জানতে পারতেন। আমরা কি অর্থ দিয়ে দিয়েছি? যদি অর্থ দেইও তাহলে সরকারের ডান হাত থেকে বাম হাতে যাচ্ছে। সরকারতো একটাই। এখন সরকারি প্রকল্পে যে অর্থ আমরা ব্যয় করি, এখন বিদেশ থেকে টাকা না এনে নিজের টাকায় করতে পারি এটা কি মঙ্গলজনক না ভালো না, বলেন? এখানে প্রশ্নের কিছু নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০২১
জিসিজি/এএ