ঢাকা, বুধবার, ৮ মাঘ ১৪৩১, ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ২১ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

রাজধানীতে মুক্তিযুদ্ধ-বঙ্গবন্ধু বিষয়ক পুস্তক প্রদর্শনী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০২১
রাজধানীতে মুক্তিযুদ্ধ-বঙ্গবন্ধু বিষয়ক পুস্তক প্রদর্শনী

ঢাকা: মুজিব শতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে দু’দিনব্যাপী মুক্তিযুদ্ধ এবং বঙ্গবন্ধু বিষয়ক পুস্তক প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়েছে।  

বুধবার (২৪ মার্চ) বিকেল সোয়া ৫টায় রাজধানীর খিলগাঁও পল্লীমা সংসদের শহীদ বাকি স্মৃতি পাঠাগারে ৫০টি বেলুন উড়িয়ে এই পুস্তক প্রদর্শনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব বীর মুক্তিযোদ্ধা ম হামিদ।

 

জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের আয়োজনে ২৪ ও ২৫ মার্চ এই প্রদর্শনী চলবে।  

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ম হামিদ বলেন, আমরা যারা ’৭১ সালে টগবগে যুবক, আমার বেড়ে ওঠা ষাটের দশকে। তখন বাংলাদেশে অনেক আন্দোলন গড়ে ওঠে। সেই আন্দোলনগুলোতে অংশ নেই। ফলে আমাদের মধ্যে দেশপ্রেম গড়ে ওঠে।  

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭০ সালে নির্বাচনে জয়ী হলেন। কিন্তু তৎকালীন পাকিস্তানি শাসকরা ক্ষমতা হস্তান্তরে নানা টালবাহানা করতে থাকে। সেই থেকে মূলত মুক্তিযুদ্ধের সূচনা। এক পর্যায়ে মানুষ জেগে উঠলো। তখন স্লোগান গ্রামেগঞ্জে ছড়িয়ে পড়ে। বীর বাঙালি অস্ত্র ধর, বাংলাদেশ স্বাধীন কর, ইয়াহিয়ার মুখে লাথি মার, বাংলাদেশ স্বাধীন কর।  

তিনি বলেন, ’৭১ সালে বঙ্গবন্ধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি প্রোগ্রামে এলেন। সেখানে দেশ স্বাধীন করতে ছাত্রদের নানা দিকনির্দেশনা দিলেন। তারপর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ। সেই ভাষণে সর্বস্তরের মানুষ প্রেরণা পায়। মানুষ দেশি অস্ত্র নিয়ে রাজপথে নামে। স্লোগান দেয় বীর বাঙালি অস্ত্র ধর, বাংলাদেশ স্বাধীন কর।  

ম হামিদ বলেন, আমরা ভাগ্যবান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পেয়েছি। আমরা ভবিষ্যতেও যেন সব শহীদ ও মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণ করি। ত্যাগ স্বীকার করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে হবে। এই দেশকে হেফাজত করা সবার দায়িত্ব।  

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম বলেন, স্বাধীনতার এই ৫০ বছরে অনেক কিছু পেয়েছি আমরা, আবার অনেক কিছু হারিয়েছিও। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষে আমি হাঁটছি, শ্বাস নিচ্ছি, এটাই তো অনেক কিছু।  

গাজী টিভির এডিটর-ইন-চিফ সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা বলেন, অর্থনীতির সব সূচকে পাকিস্তানকে পেছনে ফেলেছে বাংলাদেশ। আমরা শুধু কী অর্থনীতিতে পেছনে ফেলতে চেয়েছি? আমরা চেয়েছি একটি সেক্যুলার রাষ্ট্র। প্রকৃতপক্ষে সেটা এখনও সম্ভব হয়নি। রাষ্ট্রের কোনো ধর্ম হয় না। অথচ দুর্ভাগ্যবশত এখনও রাষ্ট্রের ধর্মীয় পরিচয় নিয়ে বয়ে বেড়াচ্ছি। এটা আমাদের দুর্ভাগ্য।  

জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক মিনার মনসুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পল্লীমা সংসদের সভাপতি আসাদুর রহমান নাসিম। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন দনিয়া পাঠাগারের সভাপতি মো. শাহনেওয়াজ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন শহীদ বাকি স্মৃতি পাঠাগারের সম্পাদক আনিসুল হোসেন তারেক। কবিতা আবৃত্তি করেন ড. শাহাদাত হোসেন নিপু।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০২১
টিএম/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।