ঢাকা, বুধবার, ৮ মাঘ ১৪৩১, ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ২১ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

লালবাগ কেল্লার প্রামাণ্য সংরক্ষণ প্রকল্প উদ্বোধন

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১২ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০২১
লালবাগ কেল্লার প্রামাণ্য সংরক্ষণ প্রকল্প উদ্বোধন

ঢাকা: পুরনো ঢাকার লালবাগ কেল্লার সাংস্কৃতিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক প্রামাণ্য সংরক্ষণ প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়েছে। বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার ও সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এ প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন।

বুধবার (২৪ মার্চ) ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস এ তথ্য জানায়।

যুক্তরাষ্ট্র সরকারের মর্যাদাপূর্ণ অ্যাম্বাসেডরস ফান্ড ফর কালচারাল প্রিজারভেশন (এএফসিপি) কার্যক্রমের মাধ্যমে অর্থায়িত এক বছরব্যাপী এই প্রকল্পের আওতায় ১৭ শতকে মুঘল আমলে নির্মিত লালবাগ কেল্লার আওতাভুক্ত প্রধান তিনটি স্থাপনার অন্যতম হাম্মাম খানা পুনর্গঠনে সহায়তা দেওয়া হবে। ২০২২ সালে কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর হাম্মাম খানার দুটি তলাই দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।

রাষ্ট্রদূত মিলার ও প্রতিমন্ত্রী খালিদ একটি আলোকচিত্র ধারণকারী ড্রোন চালনার মাধ্যমে প্রকল্পের কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন এবং স্থানটি ঘুরে দেখেন।

‘মুঘল আমলের ঐতিহাসিক লালবাগ কেল্লার হাম্মাম খানার পুনর্গঠন, সংস্কার ও ত্রিমাত্রিক প্রত্নতাত্ত্বিক প্রামাণ্য সংরক্ষণ’ প্রকল্প পরিচালিত হবে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের নেতৃত্বে। এর স্থাপত্য বৈশিষ্ট্যগুলো পুনরুদ্ধারে ঐতিহাসিকভাবে নির্ভরযোগ্য উপকরণ এবং এর নিরাপত্তা ও কাঠামোগত স্থায়িত্ব বাড়াতে অত্যাধুনিক রেট্রোফিটিং প্রযুক্তি ব্যবহৃত হবে। প্রকল্পের অংশ হিসেবে ঐতিহ্যের প্রভাব মূল্যায়নে প্রথাগত ও আধুনিক ড্রোনভিত্তিক ত্রিমাত্রিক প্রত্নতাত্ত্বিক প্রামাণ্য সংরক্ষণ পদ্ধতি ব্যবহার করা হবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত মিলার বলেন, লালবাগ কেল্লা কমপ্লেক্সের হাম্মাম খানার পুনরুদ্ধার প্রকল্প বাংলাদেশের মানুষের অপূরণীয় জন্মগত সাংস্কৃতিক অধিকার রক্ষায় বাংলাদেশি জনগণের সঙ্গে আমেরিকার অংশীদারত্বের আরও একটি সাক্ষ্য। বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তীর প্রাক্কালে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও মূল্যবোধের মধ্যে প্রোথিত আমাদের বন্ধুত্বকে আরও জোরদার করার জন্য এর চেয়ে ভালো সময় আর নেই। বাংলাদেশের জন্য একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, শান্তিপূর্ণ এবং সমৃদ্ধ ভবিষ্যত গড়তে সহযোগিতা করার জন্য এরচেয়ে ভালো সময় আর হতে পারে না।

তিনি আরও বলেন, যে ত্যাগ ও একনিষ্ঠতা নিয়ে স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের উভয় দেশের জনগণ লড়াই করেছে তার উত্তরাধিকার গড়ে তোলার জন্য এরচেয়ে ভালো সময় আর হতে পারে না। বাংলাদেশের কখনোই আমেরিকার চেয়ে বেশি শক্তিশালী ও স্থায়ী অংশীদার ছিল না এবং আমেরিকা বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য বিনিয়োগ করছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১১১ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০২১
টিআর/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।