ঢাকা, বুধবার, ৮ মাঘ ১৪৩১, ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ২১ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

জিয়াকে স্বাধীনতার ঘোষক বলা মূর্খতার শামিল: তাজুল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫২ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০২১
জিয়াকে স্বাধীনতার ঘোষক বলা মূর্খতার শামিল: তাজুল

ঢাকা: জিয়াউর রহমানকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক বলা চরম মূর্খতার শামিল বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) রাজধানীর কাকরাইলে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ভবনে নবনির্মিত মুজিব কর্নারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু ছাড়া স্বাধীনতার ঘোষক অন্য কেউ হতে পারে না, হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই স্বাধীনতার ঘোষক হওয়ার জন্য জনগণ কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত হয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন এবং তার ডাকে সাড়া দিয়ে বাঙালি জাতি দেশকে স্বাধীন করে বিশ্বমানচিত্রে সার্বভৌম দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে।

তাজুল ইসলাম আরও বলেন, রেডিও-টেলিভিশনে ঘোষণা দিলেই ঘোষক হওয়া যায় না। জিয়াউর রহমানকে যারা ঘোষক বলতে চান তাদের মূর্খতার একটি মাত্রা থাকা উচিত। এরকম কথাবার্তা মূর্খতা ছাড়া আর কিছুই নয়।

তিনি বলেন, ২৭ তারিখে রেডিওতে জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছেন। তিনি যদি ঘোষক হতেন তাহলে ২৭ মার্চ স্বাধীনতা দিবস পালন করা হতো। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করার উদ্দেশ্যেই স্বাধীনতা ও মহান মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী দোসররা জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বলে উল্লেখ করে।

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে যারা ক্ষমতায় এসেছেন তারা জাতির জন্য, দেশের জন্য কী করেছেন সেটা সকলের জানা আছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, দেশে সন্ত্রাস-নৈরাজ্য, হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে সামাজিক মূল্যবোধ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ব্যবস্থা সবকিছু তছনছ করে দিয়ে উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করা ছাড়া তারা আর কিছু করতে পারেননি।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে তারা বাংলাদেশকে ধ্বংস করতে চেয়েছিলেন। রেডিও-টেলিভিশনে বঙ্গবন্ধুর কথা বলতে না দেওয়ার ব্যবস্থা করছিলেন। ১৬ ডিসেম্বর, ২৬ মার্চে ইতিহাস বিকৃত করে বিতর্কিত কথাবার্তা বলেছেন। স্বাধীনতার বিরোধিতাকারীদের মন্ত্রী বানানো হয়েছে, সংসদ এবং বিদেশে মিশনসহ বিভিন্ন ঊর্ধ্বতন পদে পদায়ন করা হয়েছে।

মন্ত্রী বলেনন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে যে সমস্ত বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধান বা সরকারপ্রধানরা এসেছেন অথবা যারা ভার্চ্যুয়ালি যোগদান করেছেন তারা সবাই বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করছেন। বিদেশিরা যখন এ দেশে আসেন তখন তারা সবাই অভিভূত হয়ে যান। এই কারণে যে, এত অল্প সময়ের মধ্যে হতদরিদ্র দেশটি কীভাবে এত উন্নত হলো। এটা হয়েছে শুধু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শিতা এবং যোগ্য নেতৃত্বের কারণে।

তাজুল ইসলাম বলেন, রাজনীতিবিদ, সরকারি কর্মকর্তা, সেনাবাহিনী, পুলিশ, শিক্ষক, ইঞ্জিনিয়ার এবং ডাক্তারসহ সবাইকেই নিয়েই দেশের উন্নয়নে কাজ করতে হবে। এটাই বঙ্গবন্ধুর দর্শন। বঙ্গবন্ধুকে, বঙ্গবন্ধু আদর্শ ও চেতনা এবং দর্শনকে নতুন প্রজন্মের মাঝে বেঁচে রাখতে হবে।

স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. সাইফুর রহমান অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫২ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০২১
এমআইএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।