খুলনা: সুযোগ পেলেই বই মেলায় আসি। কিন্তু মেলায় লেখক-পাঠকের আড্ডা আর বইপ্রেমীদের ভিড় নেই বলে হতাশ হয়েছি।
বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) খুলনার বই মেলার ৭ম দিনে আসা কবি আনিসুর রহমান বাবু এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এবারের খুলনার বইমেলা জৌলসহীন। তবে সন্ধ্যার পরে মেলায় লেখক-পাঠকদের কিছুটা আড্ডা জমে।
শুক্রবার (১৯ মার্চ) বিকেল ৫টায় খুলনার বয়রাস্থ বিভাগীয় সরকারি গণগ্রন্থাগার প্রাঙ্গণে মুজিববর্ষের অঙ্গীকার, ঘরে ঘরে গ্রন্থাগার এই প্রতিপাদ্য নিয়ে শুরু হয় মুজিববর্ষ একুশে বইমেলা।
৬ এপ্রিল পর্যন্ত প্রতিদিন বিকেল সাড়ে তিনটা থেকে রাত সাড়ে নয়টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। মেলায় স্টল রয়েছে ৯৫টি। খুলনা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বিভাগীয় সরকারি গণগ্রন্থাগারের ব্যবস্থাপনায় এ বইমেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
মেলার দিন গড়ালেও বেচাবিক্রি তেমন একটা জমেনি বলে জানান স্টল মালিকরা।
আগুয়ান ৭১ স্টলের পরিচালক বলেন, মো. আব্দুল্লাহ চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, এবারের মেলা অসময়ে এবং করোনার প্রকোপের কারণে লোক সমাগম কম হচ্ছে। তারপরও কিছু বইপ্রেমী মানুষ আসছেন মেলায়।
কি কি বই চলছে জানতে চাইলে তিনি জানান, এ বি এম মুসার মুজিব ভাই, আফসান চৌধুরীন গ্রামের একাত্তর, লে. জেনারেল জে এফ আর জেকবের Surrender at Dacca ও মাহাদুজ্জামানের মামলার সাক্ষী ময়না পাখি।
বই মেলার কাগজাত স্টলের পরিচালন তৈয়েবুর তামিম বাংলানিউজকে বলেন, করোনার কারণে বই মেলায় আগের মতো বেচা-বিক্রি নেই। লোক সমাগমও কম। আশানুরূপ বিক্রি হচ্ছে না।
কি ধরনের বই পাঠকরা চচ্ছেন জানতে চাইলে তিনি জানান, চ্ছদ প্রকাশনীর সব বই, উল্লেখযোগ্য লস্ট ইসলামিক হিস্ট্রি, পাবলিক ম্যাটারস, লাভ অ্যান্ড রেসপেক্ট, মুসলিম ম্যানারস, প্রেসিডেন্ট মুরসি সহ আদর্শ প্রকাশনার সব বই যেমন, চমক হাসানের বই যুক্তিফাঁদে ফড়িং, অংক ভাইয়া, নিমিখ পানে, বিজ্ঞানীদের কাণ্ড কারখানা ইত্যাদি।
সন্ধ্যার পর মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ স্টলে পাঠকের ভিড় নেই, বিক্রিও কম। তবে ২৬ শে মার্চ লোকজন বাড়বে বলে আশা করছেন স্টল মালিকরা। সন্ধ্যার পরপরই মেলার মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলছে। যা দেখতে কিছু লোক সমাগম হয়েছে। এছাড়া মেলা প্রাঙ্গণে কিছু লোক বই কিনতেও এসেছেন। আড্ডা আর ঘোরাঘুরির ফাঁকে ফাঁকে টুকিটাকি কেনাকাটা করছেন অনেকে। আগে শিশু থেকে বৃদ্ধ বিভিন্ন বয়সী মানুষের পদচারণায় মেলা প্রাঙ্গণ মুখরিত থাকলেও এখন বেশির ভাগ দর্শনার্থী তরুণ প্রজন্ম। দলবেঁধে বা বিচ্ছিন্নভাবে তরুণ-তরুণীরা বইমেলায় এসেছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মেলার প্রবেশ পথেই পাঠক ও দর্শনার্থীদের মুখে মাস্ক পরার জন্য বলছেন।
বিভাগীয় সরকারি গণগ্রন্থাগারের উপপরিচালক ড. মো. আহসান উল্যাহ বাংলানিউজকে বলেন, করোনা মহামারির কারণে পাঠক-দর্শনার্থীর উপস্থিতি কম। সাত দিনে মাত্র ৫টি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন হয়েছে। অথচ অন্য বছর এর থেকে বহুগুণ বইয়ের মোড়ক মেলা প্রঙ্গণে উন্মোচন করা হতো।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০২১
এমআরএম/এমআরএ