গোপালগঞ্জ: হরিচাঁদ ঠাকুরের উত্তরসুরী পাঁচ পরিবার গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার ওড়াকান্দি ঠাকুরবাড়িতে বসবাস করেছেন। এই ঠাকুর পরিবারগুলো লাখ লাখ মতুয়া সম্প্রদায়কে নিয়ন্ত্রণ করেন।
এখন তিনি কাশিয়ানী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। এর আগেও একবার তিনি এই উপজেলায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন। কাশিয়ানী উপজেলার রামদিয়া কলেজ থেকে ভিসিও নির্বাচিত হয়েছিলেন। এছাড়া সুব্রত ঠাকুর বাংলাদেশ মতুয়া সংঘের সভাপতি।
সুব্রত ঠাকুরের মা সীমা রানি ঠাকুর বাংলাদেশ মতুয়া মহাসংঘের মহাসংঘাদিপতি। সুব্রত ঠাকুরের চাচাতো পদ্মনাভ ঠাকুর বাংলাদেশ মতুয়া মিশনের সভাপতি। এছাড়া সুব্রত ঠাকুর আরও তিন চাচাতো ভাই অমিতাভ ঠাকুর, শিবু ঠাকুর ও শংকর ঠাকুর ওড়াকান্দিতে বসবাস করেন। এছাড়া ভারতের পশ্চিম বঙ্গেও ঠাকুর পরিবার একটি প্রভাবশালী পরিবার। সেখানেও হরিচাঁদ ঠাকুরের উত্তরসুরী পাঁচ পরিবার বসবাস করেন। ওই এলাকার নামও ঠাকুরনগর। ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বসবাসকারী লাখ লাখ মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ বসবাস করেন। এই মতুয়াদের নিয়ন্ত্রণ করেন ওই ৫ পরিবার। ঠাকুর পরিবারের পূর্বসুরীরা এখানে মন্ত্রী-এমপি ছিলেন। এখন ঠাকুর পরিবারের সপ্তম উত্তরসুরী শান্তনু ঠাকুর বনগাঁয়ের সংসদ সদস্য (এমপি)।
প্রতিবছর হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মতিথিতে কাশিয়ানীর ওড়াকান্দিতে স্নানোৎসব ও মহাবারুনী মেলা অনুষ্ঠিত হয়। ২শ বছরের অধিক সময় ধরে ওড়াকান্দির ঠাকুরবাড়ীতে এই স্নানোৎসব ও মেলা অনুষ্ঠিত। এ স্নানোৎসবে সারাদেশ থেকে লাখ লাখ মতুয়াভক্ত যোগ দেন। ভারত, শ্রীলংকাসহ আশপাশের দেশ থেকেও মতুয়াভক্তরা এ স্নানোৎসবে যোগ দেন।
মূলত ১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীন হওয়ার পর ও ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর মতুয়াদের একটা অংশ ভারতে চলে যায় বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
কাশিয়ানী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ঠাকুর পরিবারের উত্তরসুরী সুব্রত ঠাকুর বাংলানিউজকে বলেন, আমার বাবার এক ভাই ১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীন হওয়ার পর শিষ্যদের নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে চলে যান। এর উত্তরসূরীরা বর্তমানে সেখানে মতুয়া সম্প্রদায়ের নেতা হিসেবে রাজনীতিতে সক্রিয় রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০০১৫, মার্চ ২৭, ২০২১
এএটি