ঢাকা: সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব দোল পূর্ণিমা রোববার (২৮ মার্চ)। দেশে এ উৎসব ‘দোলযাত্রা’ ও হোলি উৎসব নামেও পরিচিত।
দোল পূর্ণিমা উপলক্ষে মন্দিরে পূজা, যজ্ঞ, প্রসাদ বিতরণসহ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটির উদ্যোগে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে আয়োজন করা হয় দোল উৎসবের।
বৈশ্বিক মহামারি করোনা পরিস্থিতির কারণে এ বছর উৎসবটি শুধু পূজা, যজ্ঞ ও প্রসাদ বিতরণের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকছে বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি শৈলেন্দ্রনাথ মজুমদার।
দোলযাত্রা একটি হিন্দু বৈষ্ণব উৎসব। বাংলার বাইরে হোলি উৎসবটির সঙ্গে দোলযাত্রা উৎসবটি সম্পর্কযুক্ত। এ উৎসবের অপর নাম বসন্তোৎসব। ফাল্গুন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে দোলযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।
বৈষ্ণব বিশ্বাস অনুযায়ী, ফাল্গুনী পূর্ণিমা বা দোল পূর্ণিমার দিন বৃন্দাবনে শ্রীকৃষ্ণ আবির বা গুলাল নিয়ে রাধিকা ও অন্যান্য গোপীদের সঙ্গে রং খেলায় মেতেছিলেন। সে ঘটনা থেকেই দোল খেলার উৎপত্তি হয়। দোলযাত্রার দিন সকালে তাই রাধা ও কৃষ্ণের বিগ্রহ আবির ও গুলালে স্নাত করে দোলায় চড়িয়ে কীর্তনগান সহকারে শোভাযাত্রায় বের করা হয়। এরপর ভক্তরা আবির ও গুলাল নিয়ে পরস্পর রং খেলেন। দোল উৎসবের অনুষঙ্গে ফাল্গুনী পূর্ণিমাকে দোল পূর্ণিমা বলা হয়।
এ পূর্ণিমা তিথিতেই চৈতন্য মহাপ্রভুর জন্ম বলে একে গৌরপূর্ণিমা নামেও অভিহিত করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০২১
ডিএন/আরবি