মাগুরা: মাগুরায় মুক্তা খাতুন (২৪) নামে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। রোববার (২৮ মার্চ) সকালে মাগুরা সদর উপজেলার চাউলিয়া ইউনিয়নের ঘোড়ানাচ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মুক্তা খাতুন সদর উপজেলার শত্রুজিৎপুর ইউনিয়নের ফাজিলা গ্রামের মানিক মিয়ার মেয়ে।
মুক্তার বাবা মানিক মিয়া বলেন, ৫ বছর আগে সদরের চাউলিয়া ইউনিয়নের ঘোড়ানাচ গ্রামের নায়েব খার ছেলে নাসির খার সঙ্গে আমার মেয়ে মুক্তার বিয়ে হয়। বিয়ের এক বছর পর থেকে যৌতুক দাবি করে নাসির মেয়ের ওপর নানা ধরনের অত্যাচার-নির্যাতন করে আসছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমি তাকে তিন লাখ টাকা দিয়েছি। তারপরও সে আমার মেয়ের সঙ্গে খারাপ আচরণ করতে থাকে। কিছুদিন পর জানতে পারি নাসিরের বড় ভাইয়ের স্ত্রীর সঙ্গে তার পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে। আমি নাসিরের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে সে অস্বীকার করে। আমার মেয়ে বিষয়টি জানার পর থেকে নাসিরের সঙ্গে তার প্রায়ই ঝগড়া হতো। একপর্যায়ে নাসির ও তার ভাইয়ের স্ত্রী খুরশিদা আজ আমার মেয়েকে গলা টিপে হত্যা করে ঘরের আঁড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে। পরে আত্মহত্যা করেছে বলে এলাকাবাসীকে জানায়।
আমাদের কিছু না জানিয়ে মুক্তাকে সদর হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যায় নাসিরের পরিবার। আমরা ওই এলাকার এক প্রতিবেশির মাধ্যমে খবর পেয়ে দ্রুত হাসপাতালে যাই ও পুলিশকে খবর দেই। আমার মেয়েকে পূর্ব পরিকল্পনা করে নাসির ও তার ভাইয়ের স্ত্রী খুরশিদা হত্যা করেছে। আমরা এ হত্যার বিচার দাবি করছি। আমরা পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
মাগুরা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক আশরাফুল ইসলাম বলেন, আমরা ঘটনাটি জেনেছি। ইতোমধ্যে মাগুরা সদর সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক আল মেহেদিসহ সদর থানার ওসি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি আত্মহত্যা তবে ময়নাতদন্ত শেষে আসল কারণ জানা যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০২১
আরএ