রাজশাহী: রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের (রাসিক) মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, হেফাজতে ইসলাম ইসলামের কথা বললেও তাদের কর্মকাণ্ড ইসলাম সমর্থন করে না। তারা ইসলামের নামে রাষ্ট্রের সম্পদ, সরকারি-বেসরকারি গণপরিবহনে অগ্নিসংযোগ ও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমকে ব্যবহার করে মসজিদের পবিত্রতা ধ্বংস করছে।
দেশব্যাপী হেফাজত ইসলামের হরতালের প্রতিবাদে রোববার (২৮ মার্চ) দুপুরে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে সকালে মহানগরীর কুমারপাড়ায় দলীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা কর্মসূচি পালন করেন। পরে এক বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে দলীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। মিছিল শেষে সেখানে সংক্ষিপ্ত পথসভা করা হয়।
মেয়র লিটন বলেন, আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী পালন করার পরপরই ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করেছি। আমরা মাহেন্দ্রক্ষণের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। দেশের মানুষ যখন স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে দেশের দৃশ্যমান উন্নয়নে আনন্দিত ও উল্লসিত, ঠিক তখনই বিএনপি-জামায়াতের মদদপুষ্ট হেফাজতে ইসলাম দেশের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার লক্ষ্যে নাশকতার চেষ্টা করছে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বিদেশের বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধান বা সরকার প্রধান এসেছেন আমাদের দেশে। অনেকে ভিডিও কনফারেন্সে বক্তব্য রেখেছেন। বাংলাদেশের বন্ধুরাষ্ট্র ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে আসায় দেশের উন্নয়নের বেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। যা দেশের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে।
তিনি বলেন, জামায়াত-বিএনপি ও পাকিস্তানের অর্থায়নে হেফাজতকে লেলিয়ে দিয়ে সারাদেশে তাণ্ডবের রাজত্ব কায়েম করতে চায়। দেশের উন্নয়নের অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়। তাদের প্রভুদের খুশি করতে চলমান উন্নয়ন কার্যক্রমগুলোকে বাধাগ্রস্ত করাই তাদের লক্ষ্য। কিন্তু তাদের এ দুঃস্বপ্ন দেশের মাটিতে কখনও সফল হবে না। আমরা তাদের একাত্তরে পরাজিত করেছি। সেই পরজায়ের গ্লানি এখনও তারা ভুলতে পারেনি। সেই পরাজয়ের শোধ নিতে তারা দেশ ধ্বংসের খেলায় মেতে উঠেছে।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. আলী কামাল, নওশের আলী, বদরুজ্জামান খায়ের, যুগ্ম সম্পাদক মোস্তাক হোসেন, মো. আসাদুজ্জামান আজাদ, আহ্সানুল হক পিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক আসলাম সরকার, মীর ইসতিয়াক আহম্মেদ লিমন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক কামারউল্লাহ সরকার কামাল, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা সম্পাদক ডা. ফ ম আ জাহিদ, নগর কৃষক লীগ সভাপতি রহমতউল্লাহ সেলিম, সাধারণ সম্পাদক সাকির হোসেন বাবু, নগর ছাত্রলীগ সভাপতি নূর মোহাম্মদ সিয়াম, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুম মুবিন সবুজ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৬ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০২১
এসএস/আরআইএস