সিলেট: সিলেটে হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতালে গাড়ি আটকানোর জেরে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ছয় পুলিশ সদস্যসহ ইটপাটকেলের আঘাতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০/২৫ জন আহত হয়েছেন।
ঘটনাস্থল থেকে ১০ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
রোববার (২৮ মার্চ) দুপুরে বিশ্বনাথ উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের ধলিয়াপাড়া ও আমতৈল গ্রামের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের ধলিপাড়া গ্রামের চালক খায়রুল আলম ট্রাক (ঢাকা মেট্র-ট- ১৮-৯৮২৩) নিয়ে বাড়িতে যাওয়ার পথে আমতৈল গ্রামের কয়েকজন হেফাজত কর্মীসমর্থকরা বাধা দিলে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এ সময় মুফতি ফারুক মিয়া আমতৈল গ্রামে গিয়ে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিলে দুই গ্রামবাসী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ চলাকালে ধলিপাড়া গ্রামের চারটি বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে পুলিশ শর্টগানের গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।
ইটপাটকেলের আঘাতে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সহ ছয় পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। সংঘর্ষে দুই গ্রামের আরও ২০/২৫ জন আহত হন। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ চারজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।
সংঘর্ষে ধলিপাড়া গ্রামের আহতদের মধ্যে রয়েছেন- খায়রুল আলম (৩০), আফাজ উদ্দিন সুবল (৪৫), কাচা মিয়া (৩৫), আব্দুছ সালাম (৬২), এনামুল হক (২৮), ওয়াছিদ আলী (৫২), নেছার আলী (৩১), আখলাক আহমদ (১৬), ছানোয়ার (২০), ইমন আহমদ (১৮), শিপু মিয়া (২৫), মিলাদ আহমদ (৩৫), আমিরুল ইসলাম (৩০) নজির আহমদ (৩১), জাবের মিয়া (২১), আব্দুল কদ্দুছ (৭০), জহিরুল ইসলাম (৩৮) ও ইমাম উদ্দিন (৩৬)।
আমতৈল গ্রামের আহতরা হলেন- মুলহোতা মুফতি ফারুক মিয়া (৪৮), ফারুক মিয়া (৩৫), মোহন মিয়া (৪৫), সাইদুল ইসলাম (২৫), চান মিয়া (৩৫), ফয়সল আহমদ (১৪), রাসেল আহমদ (২৫), আলী আকবর (২৫), জয়নাল মিয়া (৫২) ও গুলচর আলী (৫০)।
বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম মোছা বলেন, সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনতে অতিরিক্ত পুলিশ ফোর্সের সহায়তা নেওয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৯০ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ও ৭ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ১০ জনকে আটক করা হয়।
ওসি জানান, ইটের আঘাতে তিনি নিজসহ ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এছাড়া দুই গ্রামের ২০/২৫ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২২২ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০২১
এনইউ/এমজেএফ