ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৮ মাঘ ১৪৩১, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ২২ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

রূপপুর প্রকল্পের নিরাপত্তার সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫১ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০২১
রূপপুর প্রকল্পের নিরাপত্তার সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে কথা বলছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: নিরাপত্তাব্যবস্থাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বানানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান।

দেশের মানুষের ক্ষতি হওয়ার কোনো ঝুঁকি ওই বিদ্যুৎকেন্দ্রে থাকবে না বলেও তিনি জানান।



সোমবার (২৯ মার্চ) ‘বাংলাদেশের ৫০ বছর; বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নিয়ে বঙ্গবন্ধুর ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা জানান।  

রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে অ্যাটমিক রিপোর্টার্স বাংলাদেশে (এআরবি) সেমিনারের আয়োজন করে।

সেমিনারে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী বলেন, এই প্রকল্পে আমরা নিরাপত্তাব্যবস্থার দিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছি। এর যে সর্বশেষ প্রযুক্তি কোর ক্যাচার সেটা আমরা বসিয়েছি। কোনো ধরনের কোনো সমস্যা দেখা দিলেও তাতে কোনো ক্ষতি হবে না এই কোর ক্যাচারের কারণে। বাংলাদেশের মানুষেরা কোনো ক্ষতি হবে না, এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

ইয়াফেস ওসমান বলেন, এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে রাশিয়ার সঙ্গে যখন চুক্তি হয় তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে বলেছিলেন, রাশিয়া আমাদেরও পরীক্ষিত বন্ধু। এই প্রযুক্তিতে আমাদের কোনো অভিজ্ঞতা নেই। কিন্তু এমন ভালো একটা কাজ আমরা চাই যাতে বিশ্বকে বলতে পারি আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু রাশিয়া এই কাজটি করে দিয়েছে। তখন ভ্লাদিমির পুতিন বলেছিলেন, একটা ভালো কাজ করে দেওয়ার আগ্রহ আমারও আছে। তাই তিনি নিয়মিত আমাদের এই প্রকল্পের খোঁজখবর রাখেন।

তিনি আরও বলেন, এই ধরনের প্রকল্প নির্মাণে আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) ১৯টি গাইড লাইন আছে সেগুলো মেনে, পদে পদে অনুসরণ করে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। আইএইএ সেটা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করছে। এখানে ভুল হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পরই বঙ্গবন্ধু এই রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র করার পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। তাকে এদেশের কতগুলো গাদ্ধারের হাতে জীবন দিতে হয়েছিলো। শুধু এই প্রকল্পই নয়, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, চিন্তা ছিলো বিজ্ঞানভিত্তিক। তার পথ অনুসরণ করেই বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এগিয়ে যাচ্ছেন। আজকে শেখ হাসিনা যেটা বাস্তবায়ন করছেন বঙ্গবন্ধু জীবিত থাকলে ২০ বছর আগেই এসব হয়ে যেতো।

সেমিনারে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক শৌকত আকবর বলেন, বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার চিন্তা করতেন এবং সেই পদক্ষেপও তিনি নিয়েছিলেন। স্বাধীনতার পর পারমাণবিক কর্মসূচি বাস্তবায়নের চেষ্টা তিনি করেছেন। পারমাণবিক প্রকল্প বাস্তবায়নে সব সময় সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন। সেভাবেই আমাদেরও কর্মসূচি বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছেন। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের রিয়্যাক্ট ভবনের ৩৮ দশমিক ৫ মিটার দৃশ্যমান। এই প্রকল্পের ভৌত অবকাঠামোর কাজ ৩৫ শতাংশের অধিক সম্পূর্ণ হয়েছে বলেও তিনি জানান।

সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, ঢাবির পদার্থ বিজ্ঞানের অধ্যাপক ইশতিয়াক এম সৈয়দ, প্রস্তাবিত দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সাইট সিলেকশনের প্রকল্প পরিচালক ড. এ এফ এম মিজানুর রহমান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আলী হোসেন, এআরবির সভাপতি আরিফুল সাজ্জাদ, সহসভাপতি রিশান নসরুল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ আহমেদ খান তুষার।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫১ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০২১
এসকে/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।