মেহেরপুর: ওয়ার্ডে কর্মরত আয়া রোকসানা অক্সিজেন খুলে দেওয়ার কয়েক মিনিট পরেই নুরুল ইসলাম নামে ৪৫ দিন বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
শিশুটির অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে দায়িত্বরত নার্স নার্গিস আক্তারকে বারবার অবহিত করা হলেও তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান বলে জানিয়েছেন নুরুল ইসলামের বাবা মনিরুল ইসলাম।
শনিবার (২ অক্টোবর) দিবাগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটেছে।
নুরুল ইসলাম জেলার গাংনী উপজেলার ধর্মচাকী গ্রামের মনিরুল ইসলামের ছেলে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, চারদিন আগে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নুরুল ইসলামকে ভর্তি করা হয়। শনিবার দিনগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে শিশুটির অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে দায়িত্বরত নার্স নার্গিস আক্তারকে বারবার জানান শিশুটির বাবা মনিরুল ইসলাম। নার্স বিষয়টি এড়িয়ে যান, এবং ওই ওয়ার্ডেই কর্মরত আয়া রোকসানাকে বিষয়টি দেখতে বলেন। এসময় আয়া রোকসানা বেডে গিয়ে শিশুটির অক্সিজেন খুলে দেন। এর কয়েক মিনিট পরেই শিশুটি শ্বাসকষ্ট হয়ে মারা যায়।
নার্স নার্গিস আক্তার বলেন, তার বাবা এসে বিষয়টি জানানোর পরপরই শিশুর কাছে গিয়েছি। আমি যাওয়ার আগেই শিশুটি মারা গেছে।
সেসময় দায়িত্বরত চিকিৎসক সউথ কোভিদ জানান, শিশুটি ২৯ সেপ্টেম্বর বিভিন্ন রোগ নিয়ে ভর্তি হয়। ঠিকঠাক চিকিৎসা চলছিল তার। রাতে খবর পেলাম একটি শিশুর অবস্থা আশঙ্কাজনক। আমি তাড়াতাড়ি এসেই দেখি মারা গেছে। নার্স অবহেলা করেছে কিনা সেটা আমার জানা নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০২১
আরএ