ঢাকা: জমে থাকা গ্যাসের কারণেই রাজধানীর তেজগাঁওয়ের তেজতুরী বাজার এলাকায় একটি আবাসিক ভবনের তৃতীয় তলায় বিস্ফেরণ হয়েছে বলে ধারনা করছে পুলিশ।
আহতদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী পুলিশ জানায়, বাসাটির রান্নাঘরের পাশের রুমটির দরজা-জানালা সবসময় বন্ধ থাকতো।
এদিকে, বিস্ফোরণের পর শুক্রবার (১ অক্টোবর) ঘটনাস্থলে গিয়ে বিস্ফোরক জাতীয় কোনো দ্রব্যের সন্ধান মেলেনি বলে জানিয়েছে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) মাহমুদ খান বলেন, আহত জিতুকে হাসপাতালে নেওয়ার পর এ বিষয়ে তার কাছে জানতে চায় পুলিশ। সে সময় জিতু জানায়, রুমের দরজা খুলে সিগারেট জ্বালাতে গেলেই বিস্ফোরণ ঘটে।
চোরের ভয়ে সবসময় রুমের দরজা-জানালা বন্ধ করে রাখা হতো। ধারণা করা হচ্ছে রুমটিতে রান্নাঘর থেকে কোনো লিকেজে গ্যাস এসে জমে ছিল। বিস্ফোরণটি কোনো বিস্ফোরক দ্রব্যের মাধ্যমে ঘটেনি, গ্যাসের কারণে এ বিস্ফোরণের ঘটনার সূত্রপাত বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শুক্রবার (১ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে রাজধানীর তেজগাঁও এলাকার পূর্ব তেজতুরী বাজার এলাকার ৮৭/এ ৬ তলা আবাসিক ভবনের তৃতীয় তলায় এ বিস্ফোরণ ঘটে।
এ ঘটনায় দগ্ধ জিতু শুক্রবার (১ অক্টোবর) দিনগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। জিতুর শরীরের ৬৫ শতাংশ দগ্ধ ছিল।
এ ঘটনায় ইয়াসিন নামে দগ্ধ আরও একজন ঢামেকের বার্ণ ইউনিটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার শরীরে ৫০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০২১
পিএম/এমএমজেড