পাবনা (ঈশ্বরদী): পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশি ইউনিয়নে বিপ্লব ফকির (২৩) নামে এক যুবককে সারারাত বেঁধে রেখে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ।
রোববার (৩ অক্টোবর) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদের পাবনা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
আটক আসামিরা হলেন- ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশি ইউনিয়নের চররুপপুর গ্রামের পলাশ ফকিরের ছেলে শান্ত ফকির (২৩), তার ভাই অন্তর (২০)।
আরেক আসামি আব্দুল গাফফারের ছেলে আলামিন (২৩) নামে পলাতক রয়েছেন।
এরআগে, শনিবার (২ অক্টোবর) রাতে ঈশ্বরদী থানায় নিহত যুবকের বাবা পান্না ফকির বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান আসাদ বাংলানিউজকে জানান, শনিবার (২ অক্টোবর) বিপ্লবের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। নিহত বিপ্লবের বাবা বাদী হয়ে ঈশ্বরদী থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ মামলা নথিভুক্ত করে। এরপর ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শান্ত, অন্তরকে পুলিশ গ্রেফতার করে। আলামিন ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছেন। অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। গ্রেফতার আসামিদের আদালতের মাধ্যমে পাবনা জেলা কারাগারে পাঠানো হবে।
শুক্রবার (০১ অক্টোবর) রাত ৯টায় শান্ত ও তার ভাই অন্তরসহ সহযোগীরা কৌশলে মোবাইল ফোনে বিপ্লবকে ডেকে নিয়ে যান। এরপর পাকশির রুপপুর জিগাতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাদে তাকে মুখ বেঁধে রেখে সারারাত নির্যাতন করে। রাতে খোঁজাখুঁজি করেও পরিবারের লোকজন বিপ্লবকে খুঁজে পাইনি। সকালে প্রতিবেশী জ্যোৎস্না নামে এক নারীকে শান্ত নিজেই বলে দেন বিপ্লব স্কুলের ছাদে রয়েছে। প্রতিবেশীর মাধ্যমে খবর পেয়ে শনিবার (২ অক্টোবর) সকাল ৮টার দিকে স্কুলের ছাদ থেকে বিপ্লবকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হলে বেলা ১১টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানেই তিনি মারা যান। বিপ্লবের সারা শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন ছিল। শরীরের বিভিন্ন অংশ থেঁতলানো ছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০২১
এনটি