ঢাকা: ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান এসপিসি ওয়ার্ল্ডের প্রধান সির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আল আমিন ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডের প্রশিক্ষক ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
প্রতারণা ও অর্থপাচারের অভিযোগে কলাবাগান থানায় দায়ের করা মামলায় রোববার রাজধানীর বেইলি রোড থেকে আল-আমিন ও তার স্ত্রী শারমীন আক্তারকে গ্রেফতার করা হয়।
সোমবার (০৪ অক্টোবর) রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন তদন্তকারী সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএসপি) হুমায়ুন কবির।
তিনি বলেন, বিনিয়োগের মাধ্যমে আয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন পেশার মানুষের কাছ থেকে তারা টাকা সংগ্রহ করতেন। তারা কোম্পানির হিসাব থেকে এক কোটি ১৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা পাচার করার চেষ্টা করেছিলেন।
হুমায়ুন কবির জানান, গত বছরের নভেম্বরে ২৬৮ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে মো. আল আমিন গ্রেফতার হয়েছিলেন। তিনি মূলত ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডের উচ্চ পর্যায়ের টিম লিডার ও প্রশিক্ষক ছিলেন। সেখান থেকে বের হয়ে তিনি ডেসটিনি ও যুবকের আদলেই গড়ে তুলেছেন এসপিসি ওয়ার্ল্ড প্রতিষ্ঠান।
সিআইডি কর্মকর্তা আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, আল আমিনের প্রতিষ্ঠানের গ্রাহক সংখ্যা প্রায় এক কোটি। এক মাসের মধ্যে তারা প্রায় ৫/৬ কোটি টাকার অর্ডার পায়। এ পর্যন্ত তারা ১ কোটি গ্রাহক থেকে ২২ কোটি টাকা নিয়েছেন।
তিনি বলেন, প্রাথমিক অবস্থায় এসপিসি ওয়ার্ল্ড কিছু পণ্য ডেলিভারি দিয়ে গ্রাহকদের দিয়ে ফেসবুক পেজে ইতিবাচক রিভিউ পোস্ট করিয়ে সাধারণ গ্রাহকদের আস্থা অর্জন করে। পরবর্তীতে অধিক সংখ্যায় অর্ডারের অগ্রিম অর্থ পেলে তারা পণ্য ডেলিভারি না দিয়ে গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা শুরু করে। অনেক দিন পেরিয়ে গেলে গ্রাহকরা বুঝতে পারেন তারা প্রতারণার শিকার হয়েছেন। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও সংবাদমাধ্যমে প্রতিকার দাবি করেন গ্রাহকরা। যেসব গ্রাহক খুব বেশি চাপ দেন তাদের টাকা ফেরতের মিথ্যা আশ্বাস হিসেবে চেক দেয় এসপিসি ওয়ার্ল্ড। তবে তাদের চেক ডিজঅনার হওয়ার পর গ্রাহকদের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে লাপাত্তা হয়ে যায় প্রতিষ্ঠানটি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০২১
এসজেএ/এমজেএফ