ঢাকা: একটি প্রকল্প শুরু ২৭৫ কোটি টাকায়। ধাপে ধাপে সেই প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে হচ্ছে ৬৮২ কোটি টাকা।
মঙ্গলবার (০৫ অক্টোবর) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির-একনেক শীর্ষক প্রকল্পটি দ্বিতীয় সংশোধনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। ২০১২ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পটির বাস্তবায়ন করার কথা থাকলেও গত ১০ বছরে প্রকল্পটির বাস্তবায়ন করতে পারেনি প্রকল্প কর্তৃপক্ষ। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে, চলতি বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে প্রকল্পটি দ্বিতীয় সংশোধনীর জন্য একনেক সভায় উপস্থাপন করা হয়। কিন্তু একনেক সভায় প্রকল্প বাস্তবায়নে দেরি হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন এবং প্রকল্পটি অনুমোদন না দিয়ে সেটি ফেরত পাঠান। একই সঙ্গে দেরি হওয়ার কারণসহ প্রকল্পের সার্বিক দিক দ্রুত তদন্ত করে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়কে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।
ওই সময়ের একনেক সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান জানান, প্রকল্পটির কাজের গতি সন্তোষজনক নয়। অত্যন্ত অসন্তুষ্টি এবং বিরক্তি প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন- এ ধরনের প্রকল্প গ্রহণযোগ্য নয়। এমন ধরনের প্রকল্প আমরা নেব না। আইএমইডির মাধ্যমে তাৎক্ষণিক তদন্ত করতে হবে। আদ্যোপান্ত, আর্থিক বৈষয়িক এবং ম্যাটেরিয়াল সব বিষয় দেখতে হবে। দরকার হলে যেকোনো সংস্থার সহায়তা নিতে পারে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়।
জানা যায়, প্রকল্পটির মূল ব্যয় ছিল ২৭৫ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। ২০১২ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে বাস্তবায়নের লক্ষ্য ধরে প্রকল্পটি অনুমোদন দিয়েছিল একনেক। এরপর প্রথম দফায় ২০১৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত এবং দ্বিতীয় দফায় ২০১৬ সালের ডিসেম্বর।
বাংলাদেশ সময়: ২২২৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০২১
এনটি