ঢাকা, শনিবার, ১১ মাঘ ১৪৩১, ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ২৪ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

সারা দেশে ৩২ হাজার মণ্ডপে হবে দুর্গাপূজা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৫, ২০২১
সারা দেশে ৩২ হাজার মণ্ডপে হবে দুর্গাপূজা

ঢাকা: চলতি বছর সারা দেশে ৩২ হাজার ১১৮টি মণ্ডপে উৎযাপিত হবে শারদীয় দুর্গাপূজা। গত বছরের চেয়ে এবার পূজামণ্ডপের সংখ্যা বেড়েছে ১ হাজার ৯০৫টি।

ঢাকা মহানগরে দুর্গাপূজা হবে ২৩৮টি মণ্ডপে, যা গত বছরের চেয়ে ৪টি বেশি।

মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ।

পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নির্মল কুমার চট্টোপাধ্যায় লিখিত বক্তব্যে বলেন, বর্তমান সরকার রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে আসার পর প্রতি বছর ধারাবাহিকভাবে পূজামণ্ডপের সংখ্যা বেড়েছে। দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, নিরাপত্তার ক্ষেত্রে আস্থা, সরকারি অনুদান ও শুভানুধ্যায়ীদের অনুদান নিঃসন্দেহে মণ্ডপের সংখ্যা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছে।

বুধবার মহালয়ার পিতৃপক্ষের সমাপ্তিতে দেবীপক্ষের সূচনা হবে। ১১ অক্টোবর ষষ্ঠী তিথিতে দেবীর আমন্ত্রণের মধ্য দিয়ে শুরু হবে দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা। ১৫ অক্টোবর দশমী তিথিতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে দুর্গোৎসব।

করোনা মহামারির কারণে উৎসব সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো পরিহার করে সাত্ত্বিক পূজায় সীমাবদ্ধ রাখতে ভক্তদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ। গত ৩ অক্টোবর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বৈঠকের পর ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করেছে পরিষদ।

নির্দেশনাগুলোর মধ্যে রয়েছে—মণ্ডপে আগত পূজারি, দর্শনার্থী ও ভক্তদের সবাইকে বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরা; নারী-পুরুষের জন্য পৃথক যাতায়াত ব্যবস্থা রাখা; পূজামণ্ডপে জনসমাগম পরিহার করতে মেলা, আলোকসজ্জা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আরতি প্রতিযোগিতা না করা; প্রতিমা বিসর্জনের সময় শোভাযাত্রা পরিহার করা।

এছাড়া দেশি-বিদেশি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা মন্দিরে বা মণ্ডপে এলে সংশ্লিষ্ট থানাকে আগেই অবহিত করতে হবে বলে জানানো হয়েছে ওই নির্দেশনায়।

নির্মল কুমার চট্টোপাধ্যায় বলেন, এ বছর প্রধানমন্ত্রী দুর্গাপূজা উপলক্ষে ৩ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছেন, যা গত বারের চেয়ে ১ কোটি টাকা বেশি।

আরও তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতা নীতি গ্রহণ করলেও সাম্প্রদায়িক শক্তি নানা অজুহাতে নানাভাবে ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন, নিপীড়ন চালিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের মিথ্যা অভিযোগে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন স্থানে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর, মন্দিরে হামলা, লুটপাট, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করছে। সর্বক্ষেত্রেই দলীয় আদর্শ বিসর্জন দিয়ে অনেকেই এসব সংঘবদ্ধ আক্রমণে সামিল হচ্ছেন।

আসন্ন দুর্গাপূজার প্রাক্কালে কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, গাজীপুর, চাঁদপুরের কচুয়া, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জসহ বিভিন্ন জায়গায় প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানান নির্মল কুমার চট্টোপাধ্যায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৫, ২০২১
এইচএমএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।