সিলেট: একযুগ ধরে সড়কের কাজ ঝুলিয়ে রাখায় সিলেটের সড়ক ও জনপথ (সওজ) কর্মকর্তাদের পদত্যাগ চাইলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেন, ২০১০ সালে সিলেট বিমানবন্দর-বাদাঘাট বাইপাস সড়ক উন্নয়নের প্রকল্প গ্রহণ করেছিলেন সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভারত সরকারের দেওয়া দুটি অ্যাম্বুলেন্স হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন বলেন, এই ব্যর্থতা আমাদের জন্য ও রাস্তা ব্যবহারকারীদের জন্য দুঃখের বিষয়। এই কাজের দায়িত্বে থাকা সওজ কর্মকর্তাদের জন্য লজ্জার। ১২ বছরে একটি রাস্তা করতে না পারার জন্য লজ্জায় সংশ্লিষ্ট সওজ কর্মকর্তাদের চাকরি ছেড়ে দেওয়া উচিত ছিল।
তিনি আরও বলেন, দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট পার্ক গিউন-হে যখন দায়িত্বে আসেন। তখন তিনি আইন করেন একটা প্রকল্পের জন্য একজনই প্রকল্প পরিচালক থাকবেন। এক ব্যক্তি একাধিক প্রকল্পের পরিচালক হবেন না। সময়মতো এই পরিচালক তার প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারলে ‘প্রমোটেড’ হবেন, আর ব্যর্থ হলে তাকে চাকরি থেকে বের করে দেওয়া হবে। এই আইন বাস্তবায়নের কারণে দক্ষিণ কোরিয়া এখন মডেল। অথচ তারা আমাদের চেয়েও গরিব দেশ ছিল।
এ রকম চিন্তা-ভাবনা করার এখন আমাদেরও সময় এসেছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রীকেও এ ব্যাপারে অবহিত করা হয়েছে। কেন না, জনগণের কাছে আমরা উন্নয়নের ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। উন্নয়ন বিষয়ে কোনো গাফিলতি গ্রহণযোগ্য হবে না। আর সিলেটের কোনো উন্নয়ন যাতে আটকে না যায়, সে ব্যাপারে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদেরও দৃষ্টি দিতে নির্দেশনা দেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৫, ২০২১
এনইউ/আরআইএস