ঢাকা, শনিবার, ১০ মাঘ ১৪৩১, ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ২৪ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

শুক্রবার খুলবে বঙ্গবন্ধু টানেলের দ্বিতীয় চ্যানেল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৫, ২০২১
শুক্রবার খুলবে বঙ্গবন্ধু টানেলের দ্বিতীয় চ্যানেল

ঢাকা: ‘নির্মাণ শেষে শুক্রবার (৮ অক্টোবর) মধ্যরাতে খুলে দেওয়া হবে কর্ণফুলি নদীর নিচে সুড়ঙ্গপথ বঙ্গবন্ধু টানেলের দ্বিতীয় চ্যানেল’।

মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে এ তথ্য জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।



তিনি বলেন, ইতোমধ্যে টানেলের ১ম টিউবের ৫৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ লেন স্ল্যাব ঢালাইয়ের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আগস্ট মাস পর্যন্ত টানেলের ২য় টিউবের ৮৬ দশমিক ২০ শতাংশ বোরিং কাজ সম্পন্ন হয়েছে। টানেলের ১শ শতাংশ অর্থাৎ ১৯ হাজার ৬১৬টি সেগমেন্ট এবং রিজেক্টেড সেগমেন্টসমূহের সম-পরিমাণ সেগমেন্টের পুনঃনির্মাণ কাজও কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ফলে শুক্রবার রাতে কর্ণফুলি টানেলের (নতুন নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) দুই পাড় মিলিত হবে।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আজ একনেক সভায় চলাকালীন অবস্থায় আমরা জানতে পারলাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল (কর্ণফুলি টানেল) ডিসেম্বরে খুলে দেওয়ার কথা ছিল। তবে, আশার কথা হলো শুক্রবার দুই পাড় মিলিত হবে। এটা খুবই আনন্দের সংবাদ। তরুণ প্রজন্মের কাছে এটা খুব রোমাঞ্চকর একটা বিষয়। তবে এখনই মানুষ চলাচল করতে পারবে না। কারণ অনেক কিছু কাজ বাকি আছে। সব কাজগুলো সম্পন্ন করে দ্রুত সময়েই দেশের বুকে নতুন প্রকল্প সম্পন্ন হবে।

তিনি বলেন, এই টানেল সময়ের আগে খুলে দেওয়ার কারণে ব্যয় কিছুটা হলেও সাশ্রয় হবে। আগামী শুক্রবার মধ্যরাতে এর দ্বিতীয় মুখ উন্মোচন করা হবে। প্রকল্পের সার্বিক ভৌত অগ্রগতি ৭২ শতাংশ। তবে, এখনই পরিবহন যাতায়াত করতে পারবে না। পুরোপুরি সম্পন্ন করতে আরো কিছুদিন সময় লাগবে।

চীনের সাংহাই নগরীর আদলে চট্টগ্রাম শহর ও আনোয়ারাকে ‘ওয়ান সিটি টু টাউনের আদলে কর্ণফুলি নদীতে তৈরি হচ্ছে টানেল। এক প্রান্তে আনোয়ারার ভারী শিল্প এলাকা। অন্য প্রান্তে চট্টগ্রাম নগরী, বিমান ও সমুদ্রবন্দর। বিভক্ত দুই প্রান্তকে যুক্ত করতে কর্ণফুলির তলদেশে টানেল নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ৩ দশমিক ৪ কিলোমিটার টানেল নির্মাণ প্রকল্পটি ২০১৫ সালের নভেম্বরে অনুমোদন পায়। বাংলাদেশ সরকার ও চাইনিজ এক্সিম ব্যাংক যৌথভাবে অর্থায়ন করছে। ব্যয় ধরা হয়েছে ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি ৪২ লাখ টাকা।

আগামী ২০২২ সালের মধ্যে টানেলটি যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এটি পুরোদমে চালু হলে বছরে প্রায় ৬৩ লাখ গাড়ি চলাচল করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রকল্পটি চালু হলে পাল্টে যাবে চট্টগ্রাম তথা দেশে

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৫, ২০২১
এমআইএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।