কোটি মানুষ বাস করে এই প্রিয় রাজধানীতে। তবে জীবনযাত্রার অনেক প্যারামিটারেই বিশ্বের উন্নত অনেক দেশের তুলনায় অনেক পিছিয়ে আমাদের ঢাকা।
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, জার্মান রেড ক্রস এবং বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর যৌথভাবে ঢাকা শহরের তাপদাহ নিয়ে ‘ফিজিবিলিটি স্টাডি অন হিট ওয়েভ ইন ঢাকা’ শীর্ষক একই গবেষণা চালায়।
সেপ্টেম্বরে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে গরমের মধ্যে পারিপার্শ্বিক অবস্থার কারণে ঢাকায় তাপপ্রবাহের ফলে বেশি ঝুঁকিতে থাকা ২৫টি এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে। এই এলাকাগুলোর নাম গবেষকরা দিয়েছেন ‘হিট আইল্যান্ড’।
ঢাকার হিট আইল্যান্ডগুলো হচ্ছে, বাসাবো, টঙ্গী, শহীদনগর, বাবুবাজার, পোস্তগোলা, জুরাইন, হাজারীবাগ, যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদ,বাড্ডা, গুলশান, কামরাঙ্গীরচর, মিরপুর, গাবতলী, নাখালপাড়া, মহাখালী, গোড়ান, কুর্মিটোলা, আজমপুর, উত্তরা, কামারপাড়া, মোহাম্মদিয়া হাউসিং, আদাবর, ফার্মগেইট ও তেজকুনিপাড়া।
ঘনবসতিপূর্ণ বসবাস, বড় বড় ভবন, প্রচুর গাড়ি ও কারখানার জন্যই তাপপ্রবাহের প্রবণতা বাড়িয়ে তুলেছে ঢাকায়। ফলে অসহনীয় গরমে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ঢাকায় হিট ওয়েভ বা তাপপ্রবাহের প্রবণতা দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।
‘হিট আইল্যান্ড’গুলোতে তাপমাত্রা ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৩৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকে। ঘনবসতিপূর্ণ এসব এলাকায় গরম তখন তাপপ্রবাহের পর্যায়ে চলে যায়।
আবহাওয়াবিদ ড. আব্দুল মান্নান বলেন, সারা পৃথিবীতে তাপমাত্রা বাড়ছে, বাংলাদেশ অংশেও বাড়ছে। এ কারণে ‘হিট ওয়েভের কন্ডিশন’ও বাড়ছে।
এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে প্রচুর গাছ লাগানো ও শহরে লেক তৈরি, নদীর পানির চলাচল নির্বিঘ্ন করা ও কলকারখানা রাজধানী থেকে সরানো প্রয়োজন বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
ছবি: আক্কাস মাহমুদ
বাংলাদেশ সময়: ১০১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৬, ২০২১
এসআইএস