ঢাকা: ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) সদস্যদের পেশাগত কাজের স্বীকৃতি হিসেবে প্রতি বছরের মতো এবারও শ্রেষ্ঠ রিপোর্টিংয়ের জন্য সদস্যদের ডিআরইউ বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হবে।
এ বছর মোট ২২টি বিষয়ে সেরা রিপোর্টিং পুরস্কার দেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে উপস্থিত ছিলেন ডিআরইউয়ের সভাপতি মুরসালিন নোমানী, সাধারণ সম্পাদক মসিউর রহমান খান ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাঈনুল হাসান সোহেল, নগদের নির্বাহী পরিচালক নিয়াজ মোর্শেদ ও হেড অব মার্কেটিং জাহিদুল ইসলাম সজল।
এবার প্রিন্ট ও অনলাইন সেকশনে ১৩টি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দেওয়া হবে। পুরস্কারের বিষয়গুলো- মুক্তিযুদ্ধ, ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি: শিক্ষা, অপরাধ ও আইন-শৃঙ্খলা, তথ্য, যোগাযোগ ও প্রযুক্তি, রাজনীতি, প্রসাশন, বিচার, সংসদ ও নির্বাচন কমিশন, ক্রীড়া, স্বাস্থ্যসেবাখাত, কৃষি ও পরিবেশ, অর্থনীতি, আর্থিক খাত (ব্যাংক, বিমা ও পুঁজিবাজার), নারী, শিশু ও মানবাধিকার এবং বৈদেশিক সর্ম্পক (কূটনীতি ও জনশক্তি)৷
টেলিভিশন ও রেডিও সেকশনে ৯টি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দেওয়া হবে। পুরস্কারের বিষয়গুলো হলো- অর্থনীতি; আর্থিক খাত (ব্যাংক, বীমা ও পুঁজিবাজার); অপরাধ ও আইন-শৃঙ্খলা, তথ্য, যোগাযোগ ও প্রযুক্তি, নারী, শিশু ও মানবাধিকার; ক্রীড়া; স্বাস্থ্য; সেবা খাত এবং সুশাসন ও দুর্নীতি (অনুসন্ধানী)৷
রিপোর্ট জমা দেওয়ার নিয়মের মধ্যে রয়েছে-
১. শুধুমাত্র ডিআরইউর সদস্যরা অ্যাওয়ার্ডের জন্য রিপোর্ট জমা দিতে পারবেন। তবে কার্যনির্বাহী কমিটির কেউ এতে অংশ নিতে পারবেন না।
২. ১ অক্টোবর ২০২০ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১ এর মধ্যে প্রকাশিত ও প্রচারিত প্রতিবেদন অ্যাওয়ার্ডের জন্য জমা দেওয়া যাবে।
৩. আগামী ৮ অক্টোবর রাত ৮টার মধ্যে ডিআরইউ কার্যালয়ে প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।
৪. একজন সদস্য ২টি বিষয়ে রিপোর্ট জমা দিতে পারবেন। তবে একজন সদস্য একটির বেশি বিষয়ে পুরস্কারের জন্য বিবেচিত বা মনোনীত হবেন না। একই রিপোর্ট একাধিক ক্যাটাগরিতে জমা দেওয়া যাবে না।
৫. কোন ক্যাটাগরিতে কমপক্ষে ৫টি রিপোর্ট জমা না হলে ওই ক্যাটাগরি পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবে না।
৬. প্রিন্ট ও অনলাইনের ক্ষেত্রে প্রকাশিত রিপোর্টের মূলকপি এবং ৫টি কম্পোজ করা কপি জমা দিতে হবে। মূল কপিতে সংশ্লিষ্ট সংবাদপত্র ও অনলাইনের সম্পাদক/বার্তা সম্পাদক/প্রধান প্রতিবেদকের যে কোনো একজনের সত্যায়িত হতে হবে। কম্পোজ করা কপির কোথাও রিপোর্টার ও সংবাদপত্র/অনলাইনের নাম উল্লেখ করা যাবে না। এগুলো সত্যায়িত করারও প্রয়োজন নেই।
৭. টিভি ও রেডিও রিপোর্টিংয়ের ক্ষেত্রে প্রচারিত রিপোর্টের ৫ কপি সিডি জমা দিতে হবে। সেইসঙ্গে রিপোর্টটির সংবাদ পাঠকের পঠিত অংশসহ (লিঙ্ক) ৫ কপি লিখিত স্ক্রিপ্ট জমা দিতে হবে। রিপোর্টটি কোন তারিখে প্রচারিত হয়েছে তা উল্লেখ পূর্বক টিভি ও রেডিও’র সম্পাদক/বার্তা প্রধান/ বার্তা সম্পাদক/প্রধান প্রতিবেদকের প্রত্যয়ন পত্র দিতে হবে।
৮. টিভি ও রেডিও রিপোর্টিংয়ের ক্ষেত্রে রিপোর্ট অবশ্যই ঢাকা থেকে সম্প্রচারিত চ্যানেলের নিউজ বুলেটিনে প্রচারিত হতে হবে।
৯. ঢাকার বাইরের প্রতিনিধিদের পাঠানো কোনও রিপোর্টের সংকলন পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবে না।
১০. খামের উপর রিপোর্টারের নাম, রিপোর্টের বিষয় ও ক্যাটাগরি উল্লেখ করতে হবে।
১১. মূল রিপোর্টের সঙ্গে পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি রঙিন ছবিসহ রিপোর্টারের সংক্ষিপ্ত জীবনবৃত্তান্ত জমা দিতে হবে।
১২. ওপরের নিয়মগুলো যথাযথভাবে অনুসরণ না করলে সংশ্লিষ্ট রিপোর্ট বাতিল বলে গণ্য হবে।
১৩. যেকোনো জটিলতা নিরসনে কার্যনির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৭, ২০২১
ডিএন/এনএইচআর