ঢাকা: করোনা মহামারিতে পোশাকশিল্পে কমেছে নারী শ্রমিকের সংখ্যা। অনেক কারখানায় কাজ আদায়ে নারীর প্রতি সহিংস আচরণ করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নারী শ্রম বিষয়ক গবেষণায় এসব কথা বলা হয়।
যুক্তরাজ্যের অ্যাবার্ডিন বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এ গবেষণায় কারখানা মালিকরা যেন কর্মক্ষেত্রে যৌন নিপীড়ন ও হয়রানি, নারীর প্রতি শারীরিক, মৌখিক বা মানসিক সহিংসতা, গর্ভাবস্থা এবং মাতৃত্ব সংক্রান্ত বৈষম্য মোকাবিলা করে—সেজন্য সরকারের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলে সুপারিশ করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, বাংলাদেশের পোশাকশিল্প বর্তমানে খুবই ভালো করছে। শুধু দু-একটি গার্মেন্টসের জন্য পুরো সেক্টরকে দোষ দেওয়া উচিত নয়। এই সেক্টরে নারী শ্রমিকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন। সরকার এবং ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলো নারীদের কাজের ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা দিয়ে থাকে।
তিনি আরও বলেন, চমৎকার কর্ম পরিবেশ ছাড়াও পোশাকশিল্পে নারী শ্রমিকদের জন্য ছয় মাসের মাতৃত্বকালীন ছুটি রয়েছে। অনেক প্রতিষ্ঠান এটা মানে, আবার অনেকে ছয় মাসের স্থলে চার মাস ছুটি দিয়ে থাকে। এই বৈষম্য আমাদের দূর করতে হবে।
এ সময় অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিষয়ক সাবেক অতিরিক্ত সচিব জালাল আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সালমা আক্তার উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ৭, ২০২১
এইচএমএস/এনএসআর