ভোলা: ভোলার লালমোহনে মেঘনার ভাঙনে হুমকির মুখে পড়ছে লর্ডহার্ডিঞ্জ 'মাটির কিল্লা'। দুর্যোগকালীন সময়ে গত ১০ বছর ধরে কিল্লাটি সেখানকার বাসিন্দাদের নিরাপত্তা দিয়ে আসলেও এখন সেটি বিলীনের পথে।
জানা গেছে, ২০১০ সালের দিকে লালমোহন উপজেলার লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের ফাতেমাবাদ ৬ নং ওয়ার্ডে আধুনিক কিল্লাটি স্থাপন করা হয়। কিল্লাটি ভূমি থেকে প্রায় ২০-৩০ ফুট থেকে উঁচু। একপাশে পাকা স্থাপনা অন্যপাশে মাটি দিয়ে আধুনিকভাবে কিল্লাটি নির্মাণ করা হয়। এখানে একটি বড় পুকুরও খনন করা হয়। যা আশ্রিতদের গৃহস্থলীর কাজ এবং গবাদির পশুর পানির সমস্যা সমাধান করছে। ঝড়-জলোচ্ছাস ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় স্থানীয়রা এখানে আশ্রয় নেন। দুর্যোগের সময় এটি তিন গ্রামের মানুষের একমাত্র ভরসাস্থল। এছাড়াও ঝড়ের সময় গবাদি পশুকে নিরাপদে রাখা হয় কিল্লাটিতে।
স্থানীয় বাসিন্দা রহিম, সিরাজ ও আলাউদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগে আমারা কিল্লায় আশ্রয় নিয়ে থাকি। এটি আমাদের সুরক্ষা দিয়ে আসছিল। কিন্তু গত ২-৩ বছর ধরে মেঘনার ভাঙনে কিল্লাটি হুমকির মুখে পড়েছে। এটি মেঘনায় বিলীন হয়ে গেলে আমাদের আশ্রয়ের কোনো স্থান থাকবে না।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সাহাদাত হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, বর্তমানে মেঘনার ভাঙনের মুখে ফাতেমাবাদ, সৈয়দাবাদ ও পূর্ব লর্ডহার্ডিঞ্জ মৌজা। দ্রুত ভাঙন রোধ করা না হলে, কিল্লাটিও রক্ষা করা যাবে না।
লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য আবুর কাসেম বাংলানিউজকে বলেন, নদী ভাঙন শুরু হয়েছে। এতে আধুনিক কিল্লাটি ঝুঁকির মুখে পড়েছে। বিষয়টি আমরা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। কিন্তু তারা কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। কিল্লাটি বিলীন হয়ে গেলে মানুষ অনেক ধরনের সমস্যায় পড়বে।
এ ব্যাপারে লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পল্লব কুমার হাজরা বাংলানিউজকে বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত হয়েছি, খুব দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কিল্লাটি রক্ষায় যেন কর্তৃপক্ষ দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করেন, এ জন্য স্থানীয়রা জোর দাবী জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩১ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০২১
জেডএ