পাবনা (ঈশ্বরদী): বড়াল নদীর ওপর ‘বড়ালব্রিজ স্টেশন’। প্রতিদিন শতশত যাত্রী এই স্টেশন দিয়ে যাতায়াত করেন।
বৃটিশ আমলে নির্মিত বড়ালব্রিজ রেলওয়ে স্টেশনের ব্রডগেজ-মিটারগেজ রেললাইন দিয়ে প্রতিদিন ১০ জোড়া আন্তনগর ট্রেনসহ মেইল-লোকাল রাজধানী ঢাকাসহ দেশের উত্তর-দক্ষিণাঞ্চলে যাতায়াত করে। এ স্টেশন থেকে সরকার ভালো রাজস্ব পেলেও যাত্রীসেবার মান একদম নিচের ধাপে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বৃটিশ আমলে তৈরি ঈশ্বরদী-ঢাকা রুটের বড়ালব্রিজ প্লার্টফর্মটি অনেক নিচু। প্রত্যেকটি ট্রেন মাত্র দুই-তিন মিনিটের ব্যবধানে প্লাটফর্ম ত্যাগ করে। স্টেশনটিতে যাত্রীদের বসার কোনো সুব্যবস্থা নেই। এছাড়া স্টেশনটি নিচু হওয়ায় শিশু ও বয়স্ক মানুষ তাড়াহুড়ো করে ট্রেনে উঠতে বা নামতে গিয়ে ভোগান্তির শিকার হন। অপরদিকে, স্টেশনের পাশে ময়লা আবর্জনার ড্রেন। পচা গন্ধে দাঁড়িয়ে থাকা বেশ কঠিন। যাত্রীদের বসার জায়গাটা ভবঘুরে ও ভিখারিদের দখলে থাকে। প্লাটফর্ম জুড়ে বসে থাকে হকার ও ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতা।
ভাঙ্গুড়া টেকনিক্যাল ও ম্যানেজমেন্ট কলেজের অধ্যক্ষ বদরুল আলম বাংলানিউজকে জানান, বড়ালব্রিজ স্টেশন থেকে ভাঙ্গুড়া, ফরিদপুর ও চাটমোহরে উপজেলার একাংশ মানুষ প্রতিদিন শতশত ট্রেন যাত্রী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে। প্রতিদিনই রাজশাহীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য স্বস্তিতে, কম সময়ে, কমখরচে যাতায়াত করে। প্লাটফর্মটি আরেকটু উঁচু করলে শিশু রোগীদের ট্রেনে উঠতে কষ্ট কম হয়।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশি বিভাগীয় প্রকৌশলী আব্দুর রহিম বাংলানিউজকে জানান, রেলমন্ত্রণালয়ের সচিব মহোদয় বড়ালব্রিজ স্টেশন পরিদর্শন করেছেন। কীভাবে যাত্রীসেবার মান আরো বাড়ানো যায় সে ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে পাকশি বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) মো. শাহীদুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, যাত্রীসেবার মান বাড়াতে রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবগত করা হবে।
জানা যায়, বৃটিশ আমলে ১৯১৬ সালের দিকে ঈশ্বরদী-সিরাজগঞ্জ পর্যন্ত রেল যোগাযোগ শুরু হয়। সেই সময়ে বড়ালব্রিজ স্টেশন নির্মিত। বেশ কয়েকবছর আগে এই রুটে মিটারগেজের ট্রেন চালু হওয়ার পর সামান্য সংস্কার করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৩১ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০২১
কেএআর