ঢাকা, শুক্রবার, ৯ মাঘ ১৪৩১, ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

কক্সবাজারে ৩০৪ মণ্ডপে দুর্গাপূজা

সুনীল বড়ুয়া, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ৯, ২০২১
কক্সবাজারে ৩০৪ মণ্ডপে দুর্গাপূজা কক্সবাজারে ৩০৪টি মণ্ডপে হবে দুর্গাপূজা

কক্সবাজার: সারাদেশের মত কক্সবাজারবাসীও এবার পূজার আনন্দে ভাসবে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে জেলার সর্বত্র এখন উৎসবের আমেজ।

১১ অক্টোবর থেকে জেলার ৩০৪টি মণ্ডপে শুরু হচ্ছে এ উৎসব। এর মধ্যে ১৪৯টিতে প্রতিমা ও ১৫৫টি মণ্ডপে ঘট পূজা অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ১৫ অক্টোবর শুক্রবার সৈকতে বিজয়াদশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে বৃহৎ এ উৎসব শেষ হবে। ওইদিনে সৈকতের লাবনী পয়েন্টে বসবে লাখো মানুষের মিলন মেলা।

শনিবার (০৯ অক্টোবর) দুপুরে শহরের লালদিঘীর পাড়স্থ ব্রাহ্ম্য মন্দিরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ সব তথ্য জানান জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ নেতারা।

জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট রনজিত দাশ বলেন, ইতোমধ্যে এ উৎসব উদযাপনে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। সবোর্চ্চ সতর্কতা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ উৎসব পালন করা হবে। আমাদের অনুরোধ থাকবে, কোনো পূজারি যেন মাস্কবিহীন মণ্ডপে না আসেন।

জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বাবুল শর্মা জানান, মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে মা দুর্গাকে বরণের প্রস্তুতি। এবার মা দুর্গা মর্ত্যলোকে আসবেন ঘোড়ায় চড়ে। আর দেবলোকে ফিরে যাবেন দোলায় চড়ে।

আগামী শুক্রবার বিজয়াদশমীর অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপমন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. হেলালুদ্দীন আহমদ, জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ, পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান, ট্যুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার মো. জিল্লুর রহমানসহ জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন বলে জানান আয়োজকরা।

এদিকে শারদীয় দুর্গোৎসব ঘিরে কক্সবাজারের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। কক্সবাজারের আট উপজেলায় নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। করোনার কারণে এ বছরও সরকারি বিধিনিষেধ মেনেই দুর্গোৎসব উদযাপনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। মাস্ক ছাড়া কেউ মণ্ডপে প্রবেশ করতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।

আয়োজকরা জানান, এবার নবগঠিত ঈদগাহ উপজেলাসহ সদরে ৩৪টি প্রতিমা পূজা ও ২০টি ঘট পূজা হবে। এছাড়া কক্সবাজার পৌরসভায় ১১টি প্রতিমা ও ০৯টি ঘট পূজা অনুষ্ঠিত হবে। রামুতে ২২টি প্রতিমা ও ১০টি ঘট পূজা, পেকুয়ায় ০৬টি প্রতিমা ও ০৩টি ঘট পূজা, চকরিয়ায় পৌরসভাসহ ৪৮টি প্রতিমা ও ৪৩টি ঘট পূজা, কুতুবদিয়ায় ১৩টি প্রতিমা ও ৩২টি ঘট পূজা, মহেশখালীতে পৌরসভাসহ ০১টি প্রতিমা ও ৩০টি ঘট পূজা, উখিয়ায় ০৭টি প্রতিমা ও ০৮ ঘট পূজা, টেকনাফে ০৬টি প্রতিমা পূজা এবং উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ০১টি প্রতিমা পূজা অনুষ্ঠিত হবে।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন- জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সহ-সভাপতি রতন দাশ, স্বপন পাল (নাজির), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক দীপক শর্মা দিপু, সরূপম পাল পাঞ্জু, মহিলা সম্পাদিকা দীপ্তি শর্মা, অ্যাডভোকেট প্রতিভা দাশ, কক্সবাজার পৌর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বেন্টু দাশ, সাধারণ সম্পাদক জনি ধর, সদর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অ্যাড. বাপ্পি শর্মা, সাধারণ সম্পাদক যথাক্রমে বাবলা পাল, বলরাম দাশ অনুপমসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০২১
এসবি/এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।