ফরিদপুর: সেই মানসিক ভারসাম্যহীন রিক্তা রানি মালোর দায়িত্ব নিয়েছেন ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আজিম উদ্দিন।
শনিবার (৯ অক্টোবর) সকাল ১১টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে রিক্তাকে চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এর আগে বুধবার (৬ অক্টোবর) কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে ‘রিক্তার বেঁচে থাকার আর্তনাদ’ এই শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এর পরপরই উপজেলা প্রশাসন নড়েচড়ে বসে এবং রিক্তার দায়িত্ব নেওয়ার ঘোষণা দেয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিম উদ্দিন রিক্তার সঙ্গে সরেজমিনে দেখা করেন এবং তার মামার সঙ্গে কথা বলে চিকিৎসা দেওয়ার আশ্বাস এবং তাৎক্ষণিক নগদ পাঁচ হাজার টাকা দেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আজিম উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, কয়েকটি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পরপরই দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া জন্য সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও সচিবকে নির্দেশনা দিই।
তিনি আরও বলেন, আজ সকালে সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। সেখানে চিকিৎসার জন্য রিক্তাকে ভর্তি করা হয়েছে।
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় রিক্তা নামে এক মানসিক ভারসাম্যহীন নারীর বেঁচে থাকার বুকফাঁটা আর্তনাদে ভারী হয়ে উঠে আকাশ বাতাস। নিজ বাড়িতে জায়গা না পেয়ে উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়ন পরিষদে তিনি বসবাস করতে থাকেন।
গত কিছুদিন আগে তার পা কেটে যায়। পরে সেখানে ইনফেকশন হওয়ায় এখন আর হাঁটতে পারেন না তিনি। সেসঙ্গে তার পায়ে পচন ধরেছে। তাকে দেখার মতো কেউ নেই। পরে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর ওই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তার চিকিৎসার দায়িত্ব নেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০২১
এএটি