ঢাকা: তামাক কোম্পানির আগ্রাসন প্রতিহত করতে না পারলে ‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ’ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব নয়। তামাক বিরোধী সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণ ও যথাযথ প্রয়োগ করতে দ্রুত কার্যকর নীতি গ্রহণ করতে হবে বলে মনে করেন বক্তারা।
জাতীয় তামাকমুক্ত দিবস উপলক্ষে শনিবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘জীবন বাঁচাতে তামাক ছাড়ি, তামাক কোম্পানির প্রভাব প্রতিহত করি’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট এই সেমিনারের আয়োজন করে।
সেমিনারে জাতীয় যক্ষ্মা নিরোধ সমিতি’র সভাপতি মোজাফ্ফর হোসেন পল্টু বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যথেষ্ট আন্তরিক। তিনি ‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ’ গড়ে তুলতে যে ঘোষণা দিয়েছেন তা বাস্তবায়নে আর মাত্র ১৯ বছর বাকি রয়েছে। সুতরাং অনতিবিলম্বে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো থেকে শেয়ার প্রত্যাহার ও সরকারি কর্মকর্তাদের বিএটিবি’র বোর্ড অব ডিরেক্টরি থেকে সরিয়ে নিতে হবে। তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণে দ্রুত নীতিমালা চূড়ান্ত করা জরুরি।
বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের উপদেষ্টা ও সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত বলেন, তামাক বিরোধী প্রচারণায় যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে। পক্ষান্তরে, মৃত্যুর ফেরিওয়ালা তামাক কোম্পানিগুলো তাদের পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রচারের মাধ্যমে মানুষকে তামাক সেবনে আকৃষ্ট করছে। মিডিয়া ব্যবহার করে তামাক বিরোধী প্রচারণায় জোর দিলে সামাজিক এ আন্দোলন আরও গতিশীল হবে। ধূমপানের ক্ষতিকর দিক, তামাকজনিত কারণে মৃত্যু ও ভোগান্তি বেশি বেশি প্রচার করতে হবে। সাম্প্রতিককালে তরুণদের মধ্যে ই-সিগারেট বিস্তার লাভ করছে, যা এখনই নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি।
সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা আহছানিয়া মিশনের প্রকল্প কর্মকর্তা অদূত রহমান ইমন, আইডাব্লিউবি’র পলিসি অফিসার আ ন ম মাসুম বিল্লাহ ভূঁইয়া, নাটাবের প্রজেক্ট ম্যানেজার ফিরোজ আহমেদ প্রমুখ।
আরও পড়ুন: তামাকের বিজ্ঞাপন বন্ধের দাবি
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ৯, ২০২১
এমএমআই/এনএসআর