টাঙ্গাইল: ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী সাদিয়া আক্তার (১২)। সে টাঙ্গাইল শহরের কাগমারা গ্রামের আব্দুস ছাত্তারের মেয়ে।
খবর পেয়ে এই বাল্যবিয়ে ঠেকাতে হাজির হন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রানুয়ারা খাতুন। ভেঙে যায় বিয়ে, চলে যান বরপক্ষ।
সন্ধ্যায় আবার সাদিয়াদের বাড়িতে বিয়ের আয়োজন। পুনরায় ছুটে যান ইউএনও রানুয়ারা খাতুন। সেখানে গিয়ে দেখতে পান এবার সাদিয়া নয় বিয়ের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে তার (সাদিয়ার) চাচাতো বোন এনি আক্তারকে। পরে আসল সত্য জানার পর ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাদিয়ার বাবা আব্দুস ছাত্তারকে সাতদিন এবং এনি আক্তারকে পাঁচদিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
শনিবার (০৯ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট রানুয়ারা খাতুন বাংলানিউজকে জানান, বাল্যবিয়ের খবর পেয়ে তিনি সাদিয়াদের বাড়িতে গিয়ে বিয়ে ভেঙে দিয়ে চলে আসেন। পরে আবার সন্ধ্যায় সাদিয়ার পরিবর্তে তার চাচাতো বোন এনি আক্তারকে কনে সাজিয়ে বিয়ের প্রস্তুতি নেওয়ার খবর পেয়ে তিনি আবার সেখানে যান। পরে জিজ্ঞাসাবাদে সাদিয়ার পরিবার জানায়, মেয়েকে বিয়ে দিতে প্রতারণার মাধ্যমে এনিকে কনে সাজিয়ে বিয়ের আসরে বসিয়েছিলেন। যাতে পরবর্তীতে প্রশাসন কোনো সমস্যা করতে না পারে। বিয়ে হয়ে গেলে তারা সাদিয়াকেই বরের সঙ্গে পাঠিয়ে দিতেন। পরে রাত ৮টায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আব্দুস ছাত্তারকে সাতদিন এবং এনি আক্তারকে পাঁচদিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একইসঙ্গে প্রাপ্ত বয়স না হওয়া পর্যন্ত সাদিয়াকে বিয়ে দেওয়া যাবে না বলে মুচলেকা নেওয়া হয়।
ইউএনও আরো জানান, বিয়ে বাড়িতে যাওয়ার পর প্রথমে তারা একজন তালাকপ্রাপ্ত মেয়েকে হাজির করে বলেন তার বিয়ে হচ্ছে। পরে তার কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে চলে আসি। কিন্তু পরে খবর পাই তারা প্রতারণা করেছে। পরে আবারও বিয়ে বাড়িতে হাজির হই। তবে খবর পেয়ে বর পক্ষ বিয়েবাড়িতে হাজির হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০২১
আরএ