ঢাকা, শুক্রবার, ৯ মাঘ ১৪৩১, ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

দেশ আবারও মুক্তিযুদ্ধের জায়গায় ফিরেছে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ৯, ২০২১
দেশ আবারও মুক্তিযুদ্ধের জায়গায় ফিরেছে

ঢাকা:  বাংলাদেশ আবারও মুক্তিযুদ্ধের জায়গায় ফিরে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

তিনি বলেন, পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর খুনী-অপরাধীদের রক্ষার জন্য সংবিধানকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল।

এটা ধারাবাহিকভাবে পরিচালিত হয়েছে। তারপরও জিয়া, এরশাদ ও খালেদা জিয়ারা ব্যর্থ হয়েছেন ৷ কারণ ৩০ লাখ শহীদের রক্ত বৃথা যেতে পারে না। এত আত্মত্যাগ কখনও বিফলে যেতে পারে না।

শনিবার (৯  অক্টোবর) দিনাজপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. আমজাদ হোসেনের নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালন করছি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে লালন করে। বাংলাদেশের ৫০ বছর পূর্তি পালন করছি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি দেশ পরিচালনা করছে। এই মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধরে রাখতে হবে।

তিনি বলেন, এই স্বাধীনতার সুখ তখনই অনুভব করি যখন নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ করি, পঞ্চগড় থেকে ট্রেনে ঢাকা যাই, সৈয়দপুর থেকে বিমানে কক্সবাজার যাই, বিশ্ব দরবারে যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মানিত হন।

তিনি আরও বলেন, দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আবারও মুক্তিযুদ্ধের জায়গায় ফিরে এসেছে। এ দেশের সন্তানরা এখন মুক্তিযুদ্ধ চর্চা করে, মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনতে-জানতে চায়। বঙ্গবন্ধুকে জানতে চায়। বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে যে মিথ্যাচার হয়েছে, সে মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জনগণ এখন অবস্থান নিয়েছে। যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে, তখন তরুণ প্রজন্ম শাহবাগে অবস্থান নিয়েছিল। অপরাধীদের বিপক্ষে এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে অবস্থান নিয়ে বাংলাদেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করেছে। আমরা এই জায়গা থেকে প্রেরণা পাই।

পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ের প্রসঙ্গ তুলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিজয়ী জাতিকে পরাধীনতার অন্ধকারে তলিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আমরা দেখেছি, মুক্তিযোদ্ধাদের জায়গায় কুখ্যাত শাহ আজিজকে বসানো হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর খুনীদেরকে বাংলাদেশে পুনর্বাসিত ও পুরস্কৃত করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে অপরাধ যারা করেছে, তাদেরকে মন্ত্রী বানানো হয়েছে। রাজনীতি করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। বাহাত্তরের সংবিধানকে ধর্ম দিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করা হয়েছে। বাংলাদেশকে বিভক্ত করার চেষ্টা হয়েছে।
নাগরিক সংবর্ধনা কমিটির আহ্বায়ক ও জেলা পরিষদ প্রশাসক আজিজুল ইমাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এমপি, নার্গিস তাবাসসুম জুই এমপি, জেলা প্রশাসক খালেদ মো. জাকির, পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩২ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০২১
এসকে/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।