ঢাকা, শুক্রবার, ৯ মাঘ ১৪৩১, ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

৯ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন আজমিরীগঞ্জ-বানিয়াচং

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০২১
৯ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন আজমিরীগঞ্জ-বানিয়াচং

হবিগঞ্জ: মেরামত কাজের জন্য পাঁচ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়ে হবিগঞ্জ জেলার ২ উপজেলাকে ৯ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন রাখলো পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। এ নিয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে অন্তত ৬ লাখ মানুষকে।

শনিবার (৯ অক্টোবর) সকাল থেকে জেলা শহর ব্যতিত ৯ উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছিল হবিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি।

ঘোষণা অনুযায়ী সময়মতো সংযোগ না দেওয়ায় ফ্রিজে রাখা খাবার নষ্ট হয়ে যাওয়াসহ নানা সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন এলাকাবাসী।

দুপুরের পর চার্জের অভাবে মোবাইল ফোন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় একে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকে। বন্ধ থেকেছে হাওরাঞ্চলের ছোটখাটো কল-কারখানাও।

জানা গেছে, হবিগঞ্জের শাহজিবাজার বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে একটি আইসোলেটর মেরামত ও জরুরি রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য শনিবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত জেলা শহর ব্যতিত ৯ উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছিল হবিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। ঘোষণা অনুযায়ী সময়ের আগেই সংযোগ দেয়া হবে বলেও জানায় সংস্থাটি।

কিন্তু কিছু এলাকায় সঠিক সময়ে বিদ্যুৎ সরাবরাহ স্বাভাবিক হলেও জেলার আজমিরীগঞ্জ ও বানিয়াচং উপজেলায় পুরোপুরিভাবে সংযোগ বন্ধ রাখা হয় বিকাল ৫টা পর্যন্ত। দুপুর ২টা পর্যন্ত অপেক্ষার পর বিদ্যুৎ না আসায় ওই এলাকার লোকজনের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অনেকে।

আজমিরীগঞ্জ উপজেলার ওয়ারিশ মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, আগেরদিন মাইকিং করে জনানো হয়েছিল শনিবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকবে না। কিন্তু বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ তাদের ঘোষণা অনুযায়ী সময়ে বিদ্যুৎ দেয়নি। বিকাল ৫টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ বন্ধ থাকায় ফ্রিজে রাখা রান্না করা খাবার নষ্ট হয়ে গেছে। দিনভর মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার জরুরী যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন ছিল।

বানিয়াচং উপজেলার সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শাহ নোয়াজ আলম রাজু বাংলানিউজকে বলেন, দুপুরে তার দাঁদের চিকিৎসা করানোর কথা ছিল। কিন্তু বিদ্যুৎ না থাকায় চিকিৎসকের চেম্বারে কাজ হয়নি। এজন্য তাকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দাঁতের ব্যথায় ভোগতে হয়েছে।

বানিয়াচং উপজেলার ডা. মঈনুল হাসান শাকীল, ব্যবসায়ী এনামুল হাসান, কলেজছাত্র রাজু আহমেদসহ বেশ কয়েকজন বলেন, সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ৩২ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল। কিন্তু বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় তীব্র গরম পোহাতে হয়েছে। আশপাশের কয়েকজন শিশু অসুস্থ হয়ে পাড়েছে বলেও তারা জানান।

আজমিরীগঞ্জ উপজেলার ফাতেমা আক্তার বলেন, সকালে তার স্বামী মসলা কুটানোর জন্য বাজারের কলে গিয়েছিলেন। এক ঘণ্টার মধ্যে ফেরার কথা থাকলেও বিদ্যুৎ না থাকায় তাকে ফিরতে হয়েছে সন্ধ্যায়। মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তাদের যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন ছিল।

এ নিয়ে হবিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মোতাহার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, শাহজিবাজারে একটি আইসোলেটর মেরামত ও জরুরি রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য দু’টি সাব-স্টেশন বন্ধ ছিল। ফলে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত জেলা শহর ব্যতীত হবিগঞ্জের নয়টি উপজেলায় বন্ধ থাকার কথা। অধিকাংশ এলাকায় শ্রীমঙ্গল থেকে বিদ্যুৎ এনে লাইস সচল রাখা হয়েছে। কিন্তু বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডো (পিডিবি) আইসোলেটরটি মেরামতে বিলম্ব হওয়ায় কিছু এলাকায় সময়মত সংযোগ দেওয়া যায়নি।

বাংলাদেশ সময়: ১১০২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০২১
এনএইচআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।