ঢাকা, শুক্রবার, ৯ মাঘ ১৪৩১, ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

পোল্ট্রি শিল্প রক্ষায় ১১ দফা দাবি

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০২১
পোল্ট্রি শিল্প রক্ষায় ১১ দফা দাবি

ঢাকা: দেশের সিংহভাগ মাংসের চাহিদা পূরণ করছে পোল্ট্রি শিল্প। এ শিল্পের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় সোয়া কোটি মানুষ জড়িত।

কিন্তু এ শিল্পের অন্যতম কাঁচামাল সয়ামিলের দাম সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অস্বাভাবিকভাবে বাড়ানো হয়েছে। একইসঙ্গে বাচ্চার দামও বেড়েছে কয়েকগুণ। যদিও খামারি পর্যায়ে সেভাবে বাড়েনি ডিম ও মাংসের দাম। এ কারণে দেশের লাখো প্রান্তিক খামারি কোটি কোটি টাকা লোকসানে পড়েছেন। এর থেকে মুক্তি পেতে সরকারের কাছে ১১টি জাতীয় দাবি জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা।

শনিবার (৯ অক্টোবর) রাজধানীর পুরানা পল্টনের ইকোনমিক রিপোটার্স ফোরামের (ইআরএফ) হলরুমে বাংলাদেশ এসএমই ফোরামের সহযোগিতায় ও বাংলাদেশ পোল্ট্রি শিল্প ফোরাম আয়োজিত প্রান্তিক খামারি সভায় পোল্ট্রি শিল্পের উদ্যোক্তারা এসব দাবি তুলে ধরেন।

বাংলাদেশ পোল্ট্রি শিল্প ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা এবং এসএমই ফোরামের সভাপতি চাষী মামুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন  বাংলাদেশ সরকারের অতিরিক্ত সচিব কৃষিবিদ ড. শেখ মহ. রেজাউল ইসলাম, প্রধান বক্তা ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূখ্য বিজ্ঞানী ড. মো. লতিফুল বারী এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন ইআরএফ সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলাম। এছাড়া দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা শতাধিক ক্ষতিগ্রস্ত খামারি এতে উপস্থিত ছিলেন।

সভায় বক্তারা বলেন, দেশের পোল্ট্রি শিল্প সম্ভাবনাময় একটি খাত। এ খাত দেশের সাধারণ মানুষকে মাংসের যোগান দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু যারা এ খাতের পেছনে থেকে কাজটি করে যাচ্ছেন, আজ তারাই চরম আর্থিক সংকটে পড়েছেন। এমনকি লোকসান দিতে দিতে অনেক উদ্যোক্তারা খামার বন্ধ করে বিপথে চলে যাচ্ছেন। অতিদ্রুত লোকসান কমানোর পাশাপাশি এ খাতের উন্নয়নে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেন বক্তারা। একইসঙ্গে এ খাতের জন্য একটি নীতিমালা প্রণয়নের আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

সভায় উত্থাপিত ১১টি দাবি হলো- পোল্ট্রি ফিড ও বাচ্চার অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধি বন্ধ করতে হবে। উৎপাদিত মুরগি ও তার ডিমের মূল্য নির্ধারণে  খামারিদের সুযোগ দিতে হবে। সহজ শর্তে ব্যাংক লোন ও প্রণোদনার ব্যবস্থা করতে হবে। পোল্ট্রি শিল্পের কাঁচামাল, ওষুধ, ভ্যাকসিন এবং খামারিদের ভ্যাট/ট্যাক্স মওকুফ করতে হবে। পোল্ট্রি বান্ধব বাজেটে এ খাতের উন্নয়নে বিশেষ বরাদ্দ দিতে হবে। এ শিল্পের অন্যতম কাঁচামাল সয়ামিল রপ্তানি বন্ধ করতে হবে। দীর্ঘমেয়াদি নীতিমালা প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়ন করতে হবে। এ খাতকে সিন্ডিকেট মুক্ত করতে হবে। খামারিদের আর্থিক ও জীবনের নিরাপত্তায় সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষ নির্দেশনা দিতে হবে। দেশের আট বিভাগে পোল্ট্রি শিল্প পার্ক প্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং খামারিদের জন্য বিশেষ বীমা চালু করতে হবে।

পোল্ট্রি শিল্প ফোরামের দপ্তর সমন্বয়কারী আমিনুর রহমানের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সর্ব খামারি বোরহানউদ্দীন, আব্দুর রহিম, লোটাস পারভেজ, মানিক শেখ, সুজন সরকার, তাহমিদ হাসান, মাসুমা খানম প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১১৩১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০২১
এনএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।