ঢাকা, শুক্রবার, ৯ মাঘ ১৪৩১, ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

ডিসেম্বরে আসছে ৫ কোটি ডোজ টিকা 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০২১
ডিসেম্বরে আসছে ৫ কোটি ডোজ টিকা 

ঢাকা: আগামী ডিসেম্বরে দেশে পাঁচ কোটি ডোজ করোনার ভ্যাকসিন (টিকা) আসার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।  

তিনি বলেন, বর্তমানে আমাদের হাতে এক কোটি ৮১ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন রয়েছে।

আশা করছি, অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে আরও ভ্যাকসিন এলে সেটি দাঁড়াবে পৌনে চার কোটি ডোজে। আর শুধু ডিসেম্বরে আসবে পাঁচ কোটির বেশি করোনা ভ্যাকসিন।  

আশা করি, জানুয়ারিতে আমরা বেশির ভাগ মানুষকে করোনা ভ্যাকসিন দিতে পারব, যোগ করেন মন্ত্রী।

রোববার (১০ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর মহাখালীতে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান অ্যান্ড সার্জনসের গ্রাউন্ড ফ্লোরে আয়োজিত কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন বিষয়ক এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

তিনি বলেন, এ পর্যন্ত আমরা সাত কোটি ২২ লাখ ভ্যাকসিন পেয়েছি। এর মধ্যে প্রথম ডোজ তিন কোটি ৬১ লাখ এবং এক কোটি ৮৯ লাখ দ্বিতীয় ডোজ দিয়েছি। মোট পাঁচ কোটি ৪১ লাখ ডোজ দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত পাঁচ কোটি ২০ লাখ লোক করোনার টিকা নিতে রেজিস্ট্রেশন করেছে। আগামীতে এর সংখ্যা আরও বাড়বে।

আশা করছি, তিন কোটি ডোজ ভ্যাকসিন এ অক্টোবর মাসে আমাদের কাছে থাকবে। আমরা যে ভ্যাকসিন অর্ডার করেছি, সেগুলো নভেম্বর মাসে আসবে। সব মিলিয়ে ভ্যাকসিনের সংখ্যা দাঁড়াবে পৌনে চার কোটি ডোজে। আর শুধু ডিসেম্বরে আসবে পাঁচ কোটির বেশি করোনা ভ্যাকসিন। কোভ্যাক্সের আওতায় ও চায়না থেকে কেনা ভ্যাকসিন এগুলো, যোগ করেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, আশা করি, জানুয়ারিতে আমরা বেশির ভাগ মানুষকে করোনার ভ্যাকসিন দিতে পারব। আমরা যাতে বেশি সংখ্যক মানুষকে ভ্যাকসিন দিয়ে দিতে পারি, সেই বিষয়ে ভাবছি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দৈনিক চার-ছয় লাখ করোনার ভ্যাকসিন আমরা দিতে পারছি। ভ্যাকসিন ক্যাম্পেগুলোতে ৮০ লাখের বেশি টিকা আমরা দিয়েছি। বর্তমানে আমরা ১০-১৫ লাখ ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছি। আমি কিছুদিন আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় (ডব্লিউএইচও) জেনেভার কার্যালয়ে গিয়েছিলাম। তাদের ডিজির সঙ্গে আমার ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক হয়েছে। সেখানে তিনি বাংলাদেশের ভ্যাকসিন দেওয়ার বিষয়ে প্রশংসা করেছেন, করোনা পরিস্থিতি নিয়েও প্রশংসা করেছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, বাংলাদেশকে ভ্যাকসিন কিছু বাড়িয়ে দিতে পারবেন। আমরা বিনামূল্যে ভ্যাকসিনের বিষয়ে বলেছি। তখন তিনি আশ্বস্ত করেছেন যে বর্তমানে তারা ২০ শতাংশ কমে দেন, আগামীতে এটি ৩৫ শতাংশ কমে দেওয়া যায় কি না, সেটা তারা দেখবেন।

এছাড়াও বাংলাদেশ নিজেরাই টিকা উৎপাদন করতে চাইছে শুনে তিনি সহযোগিতার আশ্বাসও দিয়েছেন। তারা এক্সপার্ট, মেশিনারিজ, র-মেটেরিয়ালস ও লোকবল দিয়ে পূর্ণ সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০২১
এসজেএ/এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।